চালের ঘন পায়েস যেন অমৃত। কিন্তু হলে কি হবে, কখনও ডায়াবেটিস কখনও আবার ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে, নির্ভাবনায় পায়েস খেতে পারেন না? সেই দুঃখ দূর হতে পারে, পায়েস তৈরির পন্থায় সামান্য বদল আনলে। ঘন দুধ, চিনি এবং চালের ব্যবহারের ফলে পায়েসে প্রচুর ক্যালোরি যোগ হয়। সেই কারণেই ওজন কমাতে চাইলে বা ডায়াবিটিস থাকলে, পায়েস পরিমিত খাওয়ার পরামর্শ দেন পুষ্টিবিদেরা। তবে চাইলে পায়েসের ক্যালোরির মাত্রা খানিক কমিয়ে ফেলা যায় উপকরণ বদলে। বাড়িয়ে দেওয়া যায় পুষ্টিগুণ।
আরও পড়ুন:
চালের বদলে কি? চালের বেশির ভাগটাই কার্বোহাইড্রেট। এতে পুষ্টির পরিমাণ কম। সে কারণে গোবিন্দভোগ চালের বদলে কাওনের চাল, মিলেট ব্যবহার করতে পারেন। এতে স্বাদে কিছুটা বদল হলেও, খেতে ভালই হবে। মাখানা দিয়েও পায়েস করতে পারেন। মাখানায় ক্যালোরি কম, কিন্তু পুষ্টিগুণ বেশি।
ফ্যাট ছাড়া দুধ: ফ্যাট যুক্ত দুধ ব্যবহারে ক্যালোরির পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে অনেকটাই। সে কারণে ফ্যাট ছাড়া দুধ ব্যবহার করতে পারেন। তবে পায়েস রাঁধার সময় দুধ খুব ভাল করে জ্বাল দিয়ে ঘন করে নিতে হবে। এতে পায়েসের স্বাদে তফাত হবে না।
গুড় বা খেজুর: চিনির বদলে গুড় ব্যবহার করতে পারেন। এতে শর্করার মাত্রা কমবে না বটে, কিন্তু গুড়ে নানারকম খনিজ আছে। ফলে পুষ্টিগুণ বাড়বে। সাধারণত পায়েসে খেজুর দেওয়া হয় না। তবে স্বাস্থ্যকর করতে হলে বীজ ছাড়ানো খেজুর বেটে দিতে পারেন। এর প্রাকৃতিক মিষ্টত্বেই পায়েসে স্বাদ আসবে, পুষ্টিগুণও বেড়ে যাবে।
বাদাম: পায়েসে কাজু-কিশমিশ দেওয়াই হয়। এর সঙ্গে পেস্তা, কাঠবাদাম কুচি জুড়ে দিলেও দারুণ লাগবে। বাদাম যথেষ্ট পুষ্টিকর খাবার। এতে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট মেলে। চাইলে বাদামের পরিমাণ একটু বাড়িয়ে নিতে পারেন। যদিও বাদাম বাড়লে পুষ্টিগুণ যেমন বাড়বে, তেমনই ক্যালোরিও বাড়বে।
পরিমাণ: ক্যালোরির পরিমাণ যতই কমান না কেন, একসঙ্গে অনেকটা পায়েস খেলে হজমেও সমস্যা হতে পারে। বিশেষত, দুধ সকলের সহ্য হয় না। তা ছাড়া দুধ হজম করাও সহজ নয়।