দিনের পর দিন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা কম্পিউটারের সামনে বসে, নয়তো টেবিল-চেয়ারে ঘাড় গুঁজে কাজ। স্পন্ডিলোসিসের মতো বড়সড় ক্রনিক অসুখের ভয় তো আছেই, এ ছাড়াও ঘাড় ও মাথার সাধারণ যন্ত্রণাও প্রায়ই হানা দেয়। ঘাড় থেকে যন্ত্রণা নামতে থাকে কাঁধের দিকে। দিনের পর দিন এমন যন্ত্রণা সইতে সইতে পেশীগুলি আড়ষ্ট হয়ে গিয়ে স্পন্ডিলোসিস ডেকে আনে। ভারী ব্যাগ বইলেও এমনটা হতে পারে।
চিকিৎসকদের মতে, ব্যথার বাড়াবাড়ি হলে চিকিৎসকের শরণ তো নিতেই হবে, কিন্তু ব্যথা শুরুতে বা ব্যথা হওয়ার আগেই কিছু জরুরি ব্যায়াম আয়ত্তে আনলে ব্যথা সরে দ্রুত।
এ সব ব্যায়ামের সবচেয়ে বড় সুবিধা, এগুলি সময়সাপেক্ষ নয়। দিন-রাতের যে কোনও সময়ই অভ্যাস করা যায়। অস্থিবিশেষজ্ঞ অমিতাভ নারায়ণ মুখোপাধ্যায়ের মতে, ‘‘দীর্ঘ দিন চাপ পড়তে পড়তে নির্দিষ্ট স্থানের পেশীগুলি শক্ত হয়ে যায়। তা ছাড়া, সোজা কথায় বোঝাতে গেলে পেশীসন্ধি ও অস্থিসন্ধিগুলিতে যে জেল থাকে তাও অনেকের ক্ষেত্রে শুকোতে শুরু করে। ফলে অস্থি ও পেশীগুলি ঘষা খায় একে অন্যের সঙ্গে, ফ্লেক্সিবিলিটি নষ্ট হয়। ফলে ব্যথা কোপ বসায়। ঘাড়ের ব্যথার মূল কারণ এগুলিই। কিছু শরীরচর্চায় অভ্যস্ত থাকলে এই বিপদ অনেকটাই ঠেকানো যায়। পেশী শিথিল হয়, প্রদাহও কমে।’’