প্রতীকী ছবি।
এক কাপ চা বা কফি ছাড়া দিন শুরু করতে পারেন না অনেকেই। আবার অনেকে আছেন যাঁদের কাজ করতে হলে ঘণ্টায় ঘণ্টায় চা-কফি প্রয়োজন হয়। কেউ বা আড্ডার ফাঁকে এক বারে বেশ কয়েক কাপ চা-কফি খেয়ে ফেলেন। বাঙালি জীবনের অতি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ এই দু’টি পানীয়। কোথাও গিয়ে অন্তত এক কাপ চা না পেলেই মন খারাপ হয় অনেকের। কিন্তু জানা আছে কি যে, আপাত ভাবে নির্ঝঞ্ঝাট পানীয় দু’টিও বেশি মাত্রায় শরীরে প্রবেশ করলে সমস্যায় ফেলতে পারে?
গবেষণা বলছে, অতিরিক্ত বেশি চা-কফি খাওয়া মানেই শরীরে যাচ্ছে অনেকটা পরিমাণ ক্যাফিন। তা থেকে নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই কতটা চা বা কফি খাওয়া হচ্ছে, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে যদি কয়েকটি উপসর্গ দেখা দেয়, তবে সঙ্গে সঙ্গে কমাতে হবে রোজের চা-কফির পরিমাণ।
কোন কোন উপসর্গ বলে দেবে যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত চা- কফি খাওয়া হয়ে যাচ্ছে?
১) অতিরিক্ত মাত্রায় ক্যাফিন শরীরে প্রবেশ করলে অনেকের আচরণেই অস্থিরতা দেখা দিতে পারে। ফলে এই বিষয়টি খেয়াল রাখতে বলছেন গবেষকরা।
২) পাশাপাশি, বিরক্তি এবং উদ্বেগও বাড়তে পারে বেশি ঘন ঘন চা বা কফি খেলে।
৩) শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৪) অনেকের আবার অত্যধিক চা-কফি খাওয়ার ফলে সব সময়েই দেহের তাপমাত্রা বেড়ে যায়।
৫) শরীরে ক্যাফিনের মাত্রা চরম পর্যায়ে পৌঁছলে বুকে ব্যথা এবং বমি ভাবও হতে পারে।
উপরের যে কোনও একটি সমস্যা হলেও নিজের রোজের চা-কফির পরিমাণের বিষয়ে সচেতন হওয়া জরুরি। অনেকেই দিনে ২-৩ কাপ চা-কফির বেশি না খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন, তবে আসলে পরিমাণটি ব্যক্তি বিশেষে আলাদা হয় বলেই মত গবেষকদের। তাই এমন কোনও সমস্যা দেখলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার পাশাপাশি চা বা কফির পরিমাণেও নজর দেওয়া জরুরি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy