হেমন্তের মরশুমে হঠাৎ বৃষ্টির আগমন। ছুটির দিনে সন্ধ্যার খাবার মানেই মুড়িমাখা বা ম্যাগি, অথবা অনলাইনে অর্ডার। কিন্তু ঝড়বৃষ্টির দিনে সন্ধ্যার খাবার হোক আবহাওয়ার সঙ্গে মানানসই। সুস্বাদু এই খাবার ঘরে বানানো বলে অস্বাস্থ্যকর তেল ব্যবহার হয় না। ফলে বাইরের ভাজাভুজির থেকে কম অস্বাস্থ্যকর। বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন কবাব। দোকানের থেকেও বেশি ভাল হতে পারে সেটি। বৃষ্টিভেজা সন্ধ্যায় চায়ের সঙ্গে মুচমুচে কবাব বানালে তৃপ্তি করে খাওয়া যাবে। উত্তর ভারতের এই জনপ্রিয় স্ন্যাকস বানানো সহজ। অতিথি আপ্যায়নের জন্যও উপযুক্ত। বাইরে মুচমুচে আর ভিতরে নরম। এমন দই কবাব ঘরেই বানানো যায় কয়েকটি সাধারণ উপকরণ দিয়েই।
মুখরোচক দই কবাব। ছবি: সংগৃহীত।
উপকরণ
১ কাপ ঘন দই
অর্ধেক কাপ পনির
অর্ধেক কাপ কুচোনো পেঁয়াজ
কাপের এক চতুর্থাংশ কুচোনো ক্যাপসিকাম
অর্ধেক চা চামচ আদাবাটা
অর্ধেক চা চামচ কাঁচালঙ্কাবাটা
অর্ধেক চা চামচ গরমমশলা
অর্ধেক চা চামচ চাটমশলা
অর্ধেক চা চামচ জিরেগুঁড়ো
১ টেবিল চামচ ধনেপাতাকুচি
স্বাদমতো নুন
২ টেবিল চামচ কর্নফ্লাওয়ার
২ চামচ পাউরুটির গুঁড়ো
সাদা তেল
প্রণালী
প্রথমে একটি বড় বাটিতে দই, পনির, পেঁয়াজ, ক্যাপসিকাম, আদাবাটা এবং কাঁচালঙ্কাবাটা মিশিয়ে নিন। এর পর গরমমশলা, চাট মশলা, জিরেগুঁড়ো, ধনেপাতা আর নুন ঢেলে ভাল করে নাড়াচাড়া করে নিন। হাতা বা চামচ দিয়েও করতে পারেন, নয়তো হাত দিয়েও মেখে নিতে পারেন, যাতে মিহি হয় মিশ্রণটি। এ বার মিশ্রণ থেকে অল্প অল্প টুকরো ছিঁড়ে নিয়ে হাতের তালুতে চেপে প্যাটির আকার দিন। আলাদা আর একটি বাটিতে কর্নফ্লাওয়ার এবং পাউরুটির গুঁড়ো মিশিয়ে রাখুন। তৈরি করা প্যাটিগুলো তাতে এক বার ডুবিয়ে নিন। প্যাটিগুলির সমস্ত দিক যেন সমান ভাবে ঢেকে যায়। এই প্যাটিগুলো প্রায় ২০ মিনিট মতো ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে নিতে হবে। এ বার কড়াইয়ে তেল গরম করে মাঝারি আঁচে প্যাটিগুলি ভেজে নিন। যত ক্ষণ না সোনালি রং ধরে তত ক্ষণ ভেজে নিন। আপনার দই কবাব প্রস্তুত। এ বার গরম গরম কবাব পরিবেশন করুন ধনেপাতা বা পুদিনা চাটনির সঙ্গে। সঙ্গে থাকুক গরম ধোঁয়া ওঠা চা। বিকেলের জলখাবার হোক বা অতিথি আপ্যায়ন— দই কবাবেই সব সমস্যার সমাধান হতে পারে।