এই সেই রিলে ক্যাচ। মিলার ও দু’ প্লেসিকে নিয়েই চর্চা হচ্ছে ক্রিকেটমহলে। ছবি— ভিডিয়ো থেকে।
দ্বিতীয় টি টোয়েন্টি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সিরিজে সমতা ফিরিয়ে এনেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১২ রানে জয়ের দিনে কুইন্টন ডি ককের ইনিংস বা রাবাডা-এনগিডিদের বোলিং যেমন প্রশংসিত হচ্ছে, তেমনই চর্চা হচ্ছে ফ্যাফ দু’ প্লেসি ও ডেভিড মিলারের রিলে ক্যাচ নিয়েও। অনেক ক্রিকেটভক্ত বলছেন, চোখে দেখলেও এমন ক্যাচ যে নেওয়া সম্ভব, তা বিশ্বাস করাই বেশ কঠিন।
অস্ট্রেলিয়ার ১৮তম ওভারে লুঙ্গি এনগিডির বলে তুলে মেরেছিলেন মিচেল মার্শ। সবাই ধরেই নিয়েছিলেন, ওভার বাউন্ডারি হবে। কিন্তু অন্য রকম ভেবেছিলেন দু’প্লেসি। ডিপে ফিল্ডিং করছিলেন তিনি। মার্শের মারা বল বাউন্ডারি লাইনের কাছে ক্যাচ ধরেন উড়ন্ত দু’প্লেসি। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন অধিনায়ক ক্যাচটি ধরেই বুঝতে পারেন, বাউন্ডারি লাইনের বাইরে চলে যাচ্ছেন।
তিনি বল ছুড়ে দেন ডেভিড মিলারের দিকে। কিন্তু ভারসাম্য রাখতে না পারায় বল মিলারের কাছে ঠিক মতো পৌঁছয়নি। এ বার যেন ছিল মিলারের ম্যাজিক দেখানোর পালা। দু’প্লেসির ছোড়া বল ঝাঁপিয়ে পড়ে লুফে নেন মিলার। এ ভাবেও যে আউট হওয়া যায়, সেটাই বোধহয় ভাবতে ভাবতে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মার্শ। আর তিনি ফিরতেই জয়ের গন্ধ পেয়ে গর্জে ওঠে গোটা স্টেডিয়াম।
আরও পড়ুন: ক্রাইস্টচার্চে কে? জেমিসনের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে দল বাছতে প্রবল সমস্যায় নিউজিল্যান্ড
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন কুইন্টন ডি’ কক। তিনি ৪৭ বলে ৭০ রান করেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ২০ ওভারে করে চার উইকেটে ১৫৮ রান। রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালই করেন দুই অজি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও অ্যারন ফিঞ্চ।
প্রথম উইকেটে দু’ জনে ৪৮ রান করেন। এনগিডির বলে ফেরেন ফিঞ্চ। এর পরে স্টিভ স্মিথের সঙ্গে ওয়ার্নার ৫০ রান যোগ করেন। বাঁ হাতি ওয়ার্নার শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে যান ৬৭ রানে। স্মিথ করেন ২৯।
আরও পড়ুন: শততম টেস্ট জয় ১০০ ওয়াইনের বোতল দিয়ে উদযাপন করলেন রস টেলররা
চার জন অজি ব্যাটসম্যান দু’অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে অস্ট্রেলিয়া করে ৬ উইকেটে ১৪৬ রান। ১২ রানে প্রোটিয়ারা ম্যাচ জিতলেও সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে দু’প্লেসি ও মিলারের রিলে ক্যাচ নিয়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy