জাভেদ মিয়াঁদাদের মতো বিরাট কোহালিও সতীর্থদের কাছে অনুপ্রেরণা, বলেছেন আমির সোহেল।
সচিন তেন্ডুলকরের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০০ সেঞ্চুরির রেকর্ড কি ভাঙতে পারবেন বিরাট কোহালি? এই নিয়ে ক্রিকেটমহলে তর্ক চলে রোজই। অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক ইয়ান চ্যাপেল ভিভ রিচার্ডসের সঙ্গে তুলনা করেছেন কোহালির। এ বার পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক আমির সোহেল নতুন তুলনার জন্ম দিলেন। জাভেদ মিয়াঁদাদের সঙ্গে ভারত অধিনায়কের তুলনা করলেন তিনি।
পাকিস্তানের সফলতম ওপেনারদের অন্যতম আমির সোহেল ইউটিউব চ্যানেলে বলেছেন, “বড় ক্রিকেটারদের আবির্ভাব আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এই সব ক্রিকেটার হঠাৎই যেন আবির্ভূত হন। তবে এঁরা নিজেরা বিশাল পর্যায়ের হলেও তাতে দলে বিশেষ প্রভাব পড়ে না। পাকিস্তানের ক্রিকেট ইতিহাসে গ্রেটনেসের কথা বললে প্রথম যে নামটা ভেসে ওঠে তা জাভেদ মিয়াঁদাদের। বাকি দলের খেলার মানেও উন্নতি ঘটিয়েছিলেন বলে তাঁর কথা এখনও আলোচিত হয়। ওর সঙ্গে লম্বা জুটি গড়লে অনেক কিছু শেখা যেত। অনুপ্রেরণা মিলত। যা নিজেকে ভাল করতে উদ্দীপ্ত করত। কোহালিও সেটাই করেছে। ওর আশপাশের প্রত্যেক ক্রিকেট নিজেকে উন্নত করেছে। আর এই কারণেই কোহালি গ্রেট ক্রিকেটার।”
আরও পড়ুন: সচিন ৯১ রানে আউট হওয়ায় আমি আর আম্পায়ার খুনের হুমকি পাই, দাবি ইংরেজ পেসারের
আরও পড়ুন: ডেথ ওভারে ধোনিকে আটকানোর ফর্মুলা বাতলালেন দীপক চহার
দুই দশক ব্যাপী আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে ১২৪ টেস্ট ও ২৩৩ ওয়ানডে খেলেছেন জাভেদ মিয়াঁদাদ। টেস্টে ৫২.৫৭ গড়ে তিনি করেছেন ৮৮৩২ রান। ওয়ানডে ক্রিকেটে ৪১.৭০ গড়ে তিনি করেছেন ৭৩৮১ রান। অন্য দিকে, কোহালি এখনও পর্যন্ত করেছেন ৭০ আন্তর্জাতিক শতরান। ২১ হাজার রানও করেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। তিন ফরম্যাটেই তাঁর গড় ৫০-এর বেশি।
কেন কোহালি গ্রেট, সেই ব্যাখ্যা করে সোহেল আরও বলেন, “আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোহালি যখন এসেছিল তখন ও ছিল ফ্ল্যামবয়েন্ট, আগ্রাসী, প্রাণপ্রাচুর্যে ভরপুর। খুব দ্রুত ও উপলব্ধি করে ফেলে যে, ব্যক্তিগত জীবনের সঙ্গে পেশাদার জীবনকে গুলিয়ে ফেললে চলবে না। এটাই সাহায্য করেছে ওকে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy