সুয়ারেজ না রোনাল্ডো, কে শেষ হাসি হাসবেন শনিবার রাতে? ছবি: এএফপি।
লা লিগাতে নিয়মিতই হয় এই ডুয়েল। তবে বিশ্বকাপের মঞ্চে এই প্রথম বার!
রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনার ‘এল ক্লাসিকো’ মানেই ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো বনাম লিওনেল মেসি। লুই সুয়ারেজ পড়ে যান আড়ালে, মেসির ছায়ায়। বিশ্বকাপের মঞ্চে তা হওয়ার উপায় নেই। এখানে সম্মুখ সমর। এবং তা পর্তুগাল বনাম উরুগুয়ে যতটা, ততটাই রোনাল্ডা বনাম সুয়ারেজ।
এটা ঘটনা, রোনাল্ডোকে বাদ দিলে পর্তুগাল অত্যন্ত সাদামাটা। হ্যাটট্রিক-সহ চার গোল হয়ে গিয়েছে। তার মধ্যে অবিশ্বাস্য ফ্রি-কিকে গোলও রয়েছে। আত্মবিশ্বাস চুঁইয়ে পড়ছে চেহারায়। ক্রাতাভোয় শুক্রবারই অনুশীলনে দেখিয়েছে ঝকঝকে। হাসছেন, মজা করছেন, দু’হাত তুলে উত্সবে মাতছেন। চাপের কোনও লক্ষণ নেই শরীরী ভাষায়। পাঁচ বারের ব্যালন ডি ওর জয়ীকে দেখে বোঝার উপায়ই নেই যে গ্রুপের শেষ ম্যাচে ইরানের বিরুদ্ধে তিনিও পেনাল্টি নষ্ট করেছেন।
অনুশীলনের ফাঁকে ফুরফুরে মেজাজে রোনাল্ডো। শুক্রবার। ছবি: এএফপি।
প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে নামার আগে পর্তুগিজ শিবিরও তাঁকে নিয়েই বাজিমাতের ছক কষছে। সতীর্থ সেড্রিক সোয়ারেস সাফ বলেছেন,“উরুগুয়ে দলে গ্রেট ফুটবলারের অভাব নেই। ওরা বেশ শক্তিশালী। তবে আমাদের দলে বিশ্বের সেরা ফুটবলার রয়েছে।”
স্বাভাবিক ভাবেই রোনাল্ডোকে থামানোর ছক কষছে লাতিন আমেরিকার দলটি। আর তাঁকে থামানোর দায়িত্ব পড়ছে উরুগুয়ের অধিনায়ক দিয়েগা গোডিনের ওপর। যাঁর আবার লা লিগায় রোনাল্ডোর বিরুদ্ধে খেলার অগাধ অভিজ্ঞতা রয়েছে। গোডিন খেলেন অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের হয়ে। ২৭ বার মাদ্রিদ ডার্বিতে রোনাল্ডোর মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। এর মধ্যে রোনাল্ডো বার দুয়েক হ্যাটট্রিক করেছেন। তবে গোডিনকেও ব্যর্থ বলা যায় না। শেষ কুড়ির মধ্যে ১৩টিতে সিআর সেভেন গোল করতে পারেননি। দু’জনের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির পুরনো ইতিহাসও রয়েছে। তাই কোচ অস্কার তাবারেজের ভাবনায় রোনাল্ডোকে থামাতে তাঁর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হবেই।
সুয়ারেজকে এই ভঙ্গিতেই দেখতে চাইছে উরুগুয়ে। ছবি: রয়টার্স।
গোল করার জন্য উরুগুয়ের ভরসা আবার সুয়ারেজ। সৌদি আরব ও রাশিয়ার বিরুদ্ধে গ্রুপের ম্যাচে গোল করেছেন সুয়ারেজ। সুয়ারেজের সঙ্গী হচ্ছেন এডিনসন কাভানি। তিনিও গোলের মধ্যে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: জানলা খুললেই মেসির চোখে রোনাল্ডোর ম্যুরাল!
আরও পড়ুন: রোনাল্ডো নিয়ে ট্রাম্প রসিকতা, জবাব রেবেলোর
তথ্য অনুসারে রোনাল্ডো একাই অবশ্য অনেক বেশি বিপজ্জনক। সম্মিলিত ভাবে, সুয়ারেজ-কাভানি এই বিশ্বকাপে করেছেন তিন গোল। রোনাল্ডোর সেখানে একারই চার গোল। পরিসংখ্যান বলছে, রোনাল্ডোকে আটকাতে করা হয়েছে ১৩ ফাউল। একমাত্র নেমার, তাঁর চেয়ে বেশি ১৭ ফাউলের সা়মনে পড়েছেন। সুয়ারেজ-কাভানিকে মিলিয়েও সেখানে ফাউলের সংখ্যা দশে পৌঁছয়নি। ১৫ শট নিয়েছেন পর্তুগালের অধিনায়ক, যার মধ্যে সাতটি থেকেছে তেকাঠিতে। উরুগুয়ের দুই স্ট্রাইকার সেখানে গোলে আটটির বেশি শট নেননি। মোট পাসের সংখ্যাতেও সুয়ারেজ-কাভানিকে টেক্কা দিয়েছেন সিআর সেভেন। ফুটবল মহলে বলা হচ্ছে, রোনাল্ডো একাই দুই স্ট্রাইকারের সমান!
তবে রোনাল্ডো মানেই যে পর্তুগাল নয়, এমন দাবিও থাকছে। বলা হচ্ছে, ম্যাচটা মোটেই রোনাল্ডো বনাম সুয়ারেজ নয়। ঠিকই, ফুটবল চিরকালই দলগত খেলা। কিন্তু, মাঠে রোনাল্ডো থাকলে তা আর কার মনে থাকে!
আরও পড়ুন: জোড়া ফলা তৈরি, হুঙ্কার তাবারেসের
আরও পড়ুন: মেসির গোড়ালিতে লাল তাবিজ!
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy