অনিশ্চিত: আর কত দিন দেখা যাবে ফেডেরারকে, বাড়ছে সেই প্রশ্ন। ফাইল চিত্র
রজার ফেডেরার কি অবসরের কথা ভাবতে শুরু করে দিয়েছেন? সাম্প্রতিকতম একটি সাক্ষাৎকারে সে রকমই ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। যেখানে তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন, ‘‘আমি কেরিয়ারের শেষ প্রান্তে পৌঁছে গিয়েছি।’’
তবে ২০টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক ফেডেরার একই সঙ্গে জানাতে ভোলেননি, এখনও তাঁর মধ্যে অনেক প্রাণশক্তি রয়েছে। জানিয়েছেন, আর একটি অলিম্পিক সোনা জিততে চান তিনি। এই অগস্টেই ৩৯ হবেন ফেডেরার। আগেই জানা গিয়েছে, ২০২০-তে করোনা আতঙ্ক কাটিয়ে টেনিস ফিরলেও তিনি আর কোর্টে ফিরছেন না এ বছরে। ডান হাঁটু বারবারই সমস্যায় ফেলছে তাঁকে। ফেব্রুয়ারিতে এক বার অপারেশন টেবলে যাওয়ার পরে সম্প্রতি আবারও হাঁটুতে অস্ত্রোপচার করাতে হয়েছে।
একটি সাক্ষাৎকারে ফেডেরার বলেছেন, তিনি অবসরের ঘোষণা তখনই করবেন, যখন তাঁর শরীর আর টেনিসের ধকল নিতে পারবে না। যখন শরীর বলে দেবে, আর পারছি না। তখনই তিনি বলেন, ‘‘এটা তো বোঝাই যাচ্ছে যে, আমি খেলোয়াড় জীবনের শেষ প্রান্তে পৌঁছেই গিয়েছি। ২০০৯ সালে যখন ফরাসি ওপেন জিতেছিলাম, তার পর থেকেই সংবাদমাধ্যমে আমার অবসর নিয়ে চর্চা চলছে। দু’বছর পরে কী হবে, আমি জানি না। বলতেও পারব না। সেই কারণেই বছর ধরে ধরে পরিকল্পনা করি আমি।’’ যোগ করেছেন, ‘‘আমি এখনও খুশিই আছি। কিন্তু যখন চাকা আর চলতে চাইবে না, গাড়ি থামিয়ে দেব।’’
আরও ইঙ্গিতপূর্ণ ভাবে এর পর তিনি বলেছেন, ‘‘যখন আরও বয়স বেড়ে যাবে, আমি নিশ্চয়ই টেনিস খেলব। কিন্তু আর ট্রেনিং করব না।’’ কী রকম হতে পারে সেই জীবন? ফেডেরারের কথায়, ‘‘খুবই আকর্ষণীয় ব্যাপার হতে পারে। সব সময় জিনিসটাকে নিয়ে পড়ে না থেকে শুধু মাঝেমধ্যে খেলো সতীর্থদের সঙ্গে।’’
টেনিসের সর্বকালের অন্যতম সেরা কিংবদন্তিই শুধু নয়, ফেডেরারকে ধরা হয় খেলার অমর শিল্পী। র্যাকেট হাতে যাঁর জাদু দেখার অপেক্ষায় থাকেন বিশ্বের সব প্রান্তের ক্রীড়াপ্রেমীরা। উইম্বলডন তাঁর দুর্গ। আট বার জিতেছেন সেখানে। সব মিলিয়ে সব চেয়ে বেশি গ্র্যান্ড স্ল্যাম (২০) তাঁরই দখলে। পেলে, মারাদোনা, মহম্মদ আলি, টাইগার উড্স, মাইকেল জর্ডান, ডন ব্র্যাডম্যান, সচিন তেন্ডুলকরদের সঙ্গে সর্বকালের সেরা ক্রীড়াবিদ হিসেবে তাঁর নাম উচ্চারিত হয়। যদি তিনি সত্যিই অদূর ভবিষ্যতে অবসর নিয়ে ফেলেন, খেলার মঞ্চ হারাবে এক বিশ্ববন্দিত নায়ককে।
আরও পড়ুন: বার্সেলোনা সংসারে কোচ হয়ে ফিরতে চান জাভি
তবে ফেডেরার অবসরের ইঙ্গিত দিলেও প্রত্যাবর্তনের দরজাও বন্ধ করেননি। হাঁটুর চোট নিয়ে বলেছেন, ‘‘এখন ২০ সপ্তাহ শুশ্রুষা চলবে। অনেকটা সময়। তবে আমি সব কিছুর জন্যই প্রস্তুত। আশা করি চোট সারিয়ে আবার কোর্টে ফেরার পরেও টেনিস খেলে যেতে পারব।’’ অলিম্পিক্স নিয়ে তাঁর বক্তব্য, ‘‘অলিম্পিক্স সব সময়ই বিশেষ একটা প্রতিযোগিতা। টোকিয়োয় অলিম্পিক্স কেমন হয় সেটা দেখার জন্য মুখিয়ে আছি। আশা করি ২০২১ সালে টোকিয়োতে অলিম্পিক্স আয়োজন করা যাবে। আমার ছেলে-মেয়েরাও অলিম্পিক্স দেখতে যেতে পারলে খুশি হবে। আমার এক মেয়ে তো জাপানি ভাষাও শিখতে চায়।’’
আরও পড়ুন: করোনার প্রকোপ, আইপিএলে শুরুর দিকের ম্যাচে অনিশ্চিত তিন নাইট তারকা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy