Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
Ranji Trophy

নাটকীয় ফাইনালে সৌরাষ্ট্রকে টপকাতে বাংলার চাই আর ৭২ রান, হাতে চার উইকেট

প্রথম ইনিংসে ৪২৫ রান তুলেছে সৌরাষ্ট্রে। ম্যাচের যা অবস্থা, তাতে প্রথম ইনিংসে যে দল এগিয়ে থাকবে, তাদের হাতেই উঠবে রঞ্জি ট্রফি, এটা এক রকম বলাই যায়। ফলে, প্রথম ইনিংসে লিডের দিকেই তাকিয়ে থাকছে উভয় দল।

অনুষ্টুপের দিকেই এখন তাকিয়ে আছে বাংলা। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।

অনুষ্টুপের দিকেই এখন তাকিয়ে আছে বাংলা। ছবি টুইটার থেকে নেওয়া।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ মার্চ ২০২০ ১২:২২
Share: Save:

রঞ্জি ট্রফি ফাইনালে বাংলা শিবিরে এখন জয়ের গন্ধ। সৌরাষ্ট্রের প্রথম ইনিংসের ৪২৫ রান টপকাতে চাই আর ৭২। হাতে রয়েছে চার উইকেট। ক্রিজে আছেন অনুষ্টুপ মজুমদার (৫৮) ও অর্ণব নন্দী (২৮)। সপ্তম উইকেটে দু’জনে যোগ করেছেন ৯১ রান। যার ফলে, চতুর্থ দিনের শেষে ছয় উইকেটে ৩৫৪ তুলেছে বাংলা। সৌরাষ্ট্রের লিড এখনও ৭১।

বৃহস্পতিবার চতুর্থ দিনের দ্বিতীয় সেশনে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল বাংলা। সেখান থেকে অনুষ্টুপ-অর্ণবের জুটি কাটাল চাপ। আনল স্বস্তি। যেহেতু প্রথম ইনিংসের রানেই ফয়সালা হতে চলেছে রঞ্জি ফাইনাল, তাই আর ৭২ রান এলেই তৃতীয় বারের জন্য চ্যাম্পিয়ন হবে বাংলা।

এদিন সকালের সেশনে পড়েনি কোনও উইকেট। সুদীপ চট্টোপাধ্যায় ও ঋদ্ধিমান সাহা চতুর্থ উইকেটে ১০১ রান যোগ করে বাংলাকে লড়াইয়ে এনেছিলেন। এই জুটি ক্রমশ বিপজ্জনক হয়ে উঠছিল সৌরাষ্ট্রর কাছে। চতুর্থ দিনের মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে তিন উইকেটে বাংলা তুলেছিল ২১৮। কিন্তু লাঞ্চের পরই ফিরে গিয়েছিলেন সুদীপ। ২৪১ বলে তাঁর ৮১ রানের ইনিংসে ছিল সাতটি বাউন্ডারি। সুদীপ ফেরার কিছু ক্ষণের মধ্যেই আউট হন ঋদ্ধি। ব্যাটে লাগিয়ে স্টাম্পে বল টেনে আনেন তিনি। ১৮৪ বল খেলে ৬৪ করেন তিনি। যাতে ছিল ১০টি চার ও একটি ছয়। বাংলার পঞ্চম উইকেট পড়ে ২৪১ রানে। এর পর ষষ্ঠ উইকেটে অনুষ্টুপ মজুমদার ও শাহবাজ আহমেদ যোগ করেন ২২ রান। বাংলার ষষ্ঠ উইকেট পড়ে ২৬৩ রানে। চেতন সাকারিয়ার বলে বোল্ড হন শাহবাজ (১৬)।

চায়ের বিরতিতে ছয় উইকেটে ২৬৪ রান তুলেছিল বাংলা। তখনও ১৬১ রানে এগিয়ে ছিল সৌরাষ্ট্র। অনুষ্টুপ মজুমদার ও অর্ণব নন্দীর জুটি দায়িত্ব নিয়ে টেনেছেন দলকে। হতাশা বাড়িয়েছেন জয়দেব উনাদকাটদের।

প্রথম ইনিংসে ৪২৫ রান তুলেছিল সৌরাষ্ট্রে। ম্যাচের যা অবস্থা, তাতে প্রথম ইনিংসে যে দল এগিয়ে থাকবে, তাদের হাতেই উঠবে রঞ্জি ট্রফি, এটা এক রকম বলাই যায়। ফলে, প্রথম ইনিংসে লিডের দিকেই তাকিয়ে থাকছে উভয় দল। বুধবার ম্যাচের তৃতীয় দিনে তিন উইকেটে ১৩৪ তুলেছিল বাংলা। তখনও ২৯১ রানে পিছিয়ে ছিল অভিমন্যু ঈশ্বরনের দল। সুদীপ ও ঋদ্ধি অপরাজিত ছিলেন যথাক্রমে ৪৭ ও ৪ রানে।

আরও পড়ুন: চাই মাত্র ১৩৩, তা হলেই সচিনকে টপকে যাবেন বিরাট​

আরও পড়ুন: করোনা-আতঙ্কে বন্ধ হবে আইপিএল? সিদ্ধান্ত শনিবার​

বৃহস্পতিবার ম্যাচের চতুর্থ দিনে ধীরেসুস্থে শুরু করেছিল বাংলা। উইকেট আসছে না দেখে দ্বিতীয় নতুন বল নিয়েছিল সৌরাষ্ট্র। কিন্তু তাতেও লাভ হয়নি। পঞ্চাশ পার করে সুদীপ এগোচ্ছেন বড় রানের দিকে। আর ঋদ্ধি প্রথমে সময় নিলেও তার পর স্কোরবোর্ড সচল রাখেন। ঋদ্ধি অবশ্য বার তিনেক বেঁচেও যান। এক বার আম্পায়ার এলবিডব্লিউ দেওয়ায় রিভিউ নেন তিনি। তৃতীয় আম্পায়ারের মনে হয় যে বল ব্যাটে লেগেছে। ফলে, আউটের সিদ্ধান্ত ফিরিয়ে নেন আম্পায়ার। আর দ্বিতীয় বারে জয়দেব উনাদকাটের বল তাঁর পায়ে লাগে। কিন্তু আম্পায়ার আঙুল তোলেননি। রিভিউ নেয় সৌরাষ্ট্রে। তাতে দেখা যায় বল ঋদ্ধির পায়ে লেগেছে অফস্টাম্প লাইনের ঠিক বাইরে। বল স্টাম্পে লাগছে তা বোঝা গেলেও এই কারণে বেঁচে যান ঋদ্ধি। তিনি ফের রেহাই পান প্রথম সেশনের শেষের দিকে। উনাদকাটের বলে তাঁর খোঁচা যায় গালিতে। কিন্তু ফিল্ডার তা ধরতে পারেননি। বল যায় সীমানায়। পঞ্চাশে পৌঁছন ঋদ্ধি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE