প্রতীকী ছবি।
ম্যাচ গড়াপেটার কালো ছায়া কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগগুলোর। কর্নাটক প্রিমিয়ার লিগে গড়াপেটা করার জন্য গ্রেফতার করা হল দু’জন ক্রিকেটারকে। এঁদের মধ্যে একজন ভারতের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটার, সি এম গৌতম। অন্য জন, কর্নাটক দলে তাঁর এক সময়কার সতীর্থ আবরার কাজি।
গত দু’মরসুমে কেপিএলে ম্যাচ গড়াপেটার অভিযোগ নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত করছে বেঙ্গালুরুর সেন্ট্রাল ক্রাইম ব্র্যাঞ্চ। যারা এ দিন গ্রেফতার করল গৌতম এবং কাজিকে। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সন্দীপ পাটিল সংবাদসংস্থাকে বলেছেন, ‘‘কেপিএল ম্যাচ গড়াপেটা কাণ্ডে আমরা দু’জন ক্রিকেটারকে গ্রেফতার করেছি।’’ তিনি এও জানিয়েছেন, গ্রেফতারের সংখ্যাটা বাড়তে পারে। উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান গৌতম আইপিএলে তিনটি দলের হয়ে খেলেছেন। দিল্লি ডেয়ারডেভিলস, মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। কর্নাটকের হয়ে তিনি নিয়মিত রঞ্জি ট্রফিতে খেলেছেন। এই মরসুমে গোয়ার হয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মুস্তাক আলি ট্রফিতে খেলার জন্য। কাজি এখন খেলেন মিজোরামের হয়ে। তিনিও রাজ্য দলে রয়েছেন। কেপিএলে বেলারি টাস্কার্স দলের অধিনায়ক গৌতম। কাজি তাঁর সতীর্থ। পুলিশ জানিয়েছে, ফাইনালে হুবলি টাইগার্সের বিরুদ্ধে খেলার সময় গড়াপেটা করেছিলেন তাঁরা। পুলিশের বক্তব্য, মন্থর ব্যাটিং করার জন্য দু’জনের প্রত্যেককে ২০ লাখ করে টাকা দেওয়া হয়েছিল। ওই ফাইনাল হুবলি টাইগার্স আট রানে জেতে।
তদন্তকারী এক অফিসারের কথায়, ‘‘অর্থের বিনিময়ে মন্থর ব্যাটিং এবং আরও কয়েকটা ব্যাপারে জড়িয়ে পড়ে এই দু’জন। শুধু ফাইনালে নয়, বেঙ্গালুরু দলের বিরুদ্ধে আরও একটা ম্যাচে গড়াপেটা করেছিল ওরা।’’ এই সপ্তাহে বেঙ্গালুরু দলের এক ক্রিকেটারকেও আটক করেছে পুলিশ। দু’মাস আগে কেপিএলে ম্যাচ গড়াপেটার ব্যাপারটা সামনে চলে আসার পরে একটি দলের মালিক-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে গৌতমই হল সব চেয়ে বড় নাম, যাঁকে এই গড়াপেটা বিতর্কে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৯৪টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলেছেন গৌতম। কাজি ১৭টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার পাশাপাশি আরসিবির হয়ে সেই ২০১১ সালে একটি ম্যাচ খেলেছিলেন আইপিএলে। ২৬ অক্টোবর বেঙ্গালুরু ব্লাস্টার্সের বোলিং কোচ বিনু প্রসাদ এবং ব্যাটসম্যান বিশ্বনাথনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy