Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

সুকেরদের কীর্তিই তাতাচ্ছে মদ্রিচদের

১৯৯৮-এ ফ্রান্স বিশ্বকাপে দাভর সুকেরের ক্রোয়েশিয়া যখন বিশ্বের তৃতীয় সেরা দলের খেতাব জিতে নিয়েছিল, তখন মদ্রিচের বয়স ছিল ১২।

নজরে: নক-আউটে ক্রোয়েশিয়ার ভরসা মদ্রিচ। ফাইল চিত্র

নজরে: নক-আউটে ক্রোয়েশিয়ার ভরসা মদ্রিচ। ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০১৮ ০৫:৫৩
Share: Save:

কুড়ি বছর আগে যে স্বপ্ন দেখা শুরু করেছিলেন, তা ক্রমশ সত্যি হয়ে উঠছে। এই সুযোগ আর হাতছাড়া করতে চান না লুকা মদ্রিচ।

১৯৯৮-এ ফ্রান্স বিশ্বকাপে দাভর সুকেরের ক্রোয়েশিয়া যখন বিশ্বের তৃতীয় সেরা দলের খেতাব জিতে নিয়েছিল, তখন মদ্রিচের বয়স ছিল ১২। প্রথম বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া ক্রোয়েশিয়ার সেই উত্থান যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটাতে ফুটবলের যে জোয়ার এসেছিল, সেই জোয়ারেই ভেসে এসেছেন আজকের মদ্রিচ, ইভান রাকিতিচ, মাতেও কোভাচিচরা। রবিবার যাঁরা ডেনমার্কের বিরুদ্ধে নামবেন শেষ আটে ওঠার লড়াইয়ে। আর এই যুদ্ধে রাকিতিচদের সম্বল ফ্রান্স বিশ্বকাপের সেই স্মৃতি। যা মনে করে নিজেদের তাতাচ্ছেন তাঁরা।

রাশিয়ায় পা রাখার আগেই মদ্রিচ বলেছিলেন, ‘‘ফ্রান্সের সেই সাফল্য আমাদের দেশে ফুটবলের জনপ্রিয়তা এক লাফে অনেকটা বাড়িয়ে দেয়। সারা বিশ্ব আমাদের কথা জানতে পারে। তখন থেকেই স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলাম, একদিন আমাকেও এই জায়গায় পৌঁছতে হবে।’’ এখন সেই সুযোগ তাঁদের সামনে। রবিবার ডেনমার্কের বিরুদ্ধে তাঁরা ফেভারিট। জিততে পারলে কোয়ার্টার ফাইনালে স্পেন বা রাশিয়ার মুখোমুখি হতে হবে তাঁদের।

তবে সেই ম্যাচ নিয়ে নয়, ক্রোয়েশিয়া শিবিরে এখন ভাবনা শুধু ডেনমার্ক নিয়ে। যাদের মিডফিল্ডার ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনই সবচেয়ে বেশি চিন্তায় রেখেছেন মদ্রিচদের। আর্জেন্টিনাকে ৩-০ হারানোর পরে
‘ডি’ গ্রুপের এক নম্বর দল হয়ে শেষ ষোলোয় উঠে এসেছে ক্রোয়েশিয়া।

মদ্রিচই যে এই দলের সবচেয়ে বড় ভরসা, তা স্বীকার করে নিয়ে দলের ডিফেন্ডার দেয়ান লভরেন শনিবার বলেন, ‘‘লুকা এখন বিশ্বের অন্যতম সেরা। ও জার্মান বা স্প্যানিশ খেলোয়া়ড় হলে আরও নাম করত।’’ তাঁর বক্তব্য, মদ্রিচের ব্যালন ডি’ওর অবশ্যই প্রাপ্য।

ক্রোয়েশিয়ার কোনও ফুটবলার আজ পর্যন্ত ইউরোপ সেরার সম্মান পাননি বলে অভিমানী সে দেশের ফুটবল মহল। সুকের ১৯৯৮-এ দ্বিতীয় সেরা হয়েছিলেন। তার পর থেকে আর তাঁর দেশের কারও ভাগ্যে শিকে ছেঁড়েনি। এ বার ফের বিশ্বকাপে দুনিয়াকে চমকে দিয়ে ক্রোয়েশীয়রা প্রমাণ করতে চান, সুকেরদের উত্তরসূরিরাও যথেষ্ট যোগ্য। তবে আত্মতুষ্টি যাতে তাঁদের শিবিরে ঢুকতে না পারে, সেই ব্যাপারেও সতর্ক ক্রোয়েশিয়া শিবির। মিডফিল্ডার মাতেও কোভাচিচ যেমন শনিবার দেশের সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘বল কন্ট্রোলের খেলা খেলতে হবে আমাদের। আমাদের এই ম্যাচে ফেভারিট বলা হলেও, আমার তা মনে হয় না। কঠিন হবে ম্যাচটা। আমরা ভাল খেলেছি। ভাল জয়ও পেয়েছি। কিন্তু ডেনমার্ককে হারাতে না পারলে সে সবই জলে চলে যাবে।’’

এরিকসেনকে নিয়ে যে চিন্তায় রয়েছেন তাঁরা, তা কোভাচিচের কথাতেই স্পষ্ট। বলেন, ‘‘এরিকসেন বড় ফুটবলার। টটেনহামে ও নিজেকে প্রমাণ করেছে। আমরা জানি ওর শক্তি আর দুর্বলতা। দুর্দান্ত শট মারে ও। ওকে নিয়ে আমাদের সতর্ক থাকতেই হবে। কিন্তু মেসিকে যখন আটকাতে পেরেছি, এরিকসেনকেই বা নয় কেন?’’

আর এরিকসেন বলছেন, ‘‘ক্রোয়েশিয়া ফেভারিট হতে পারে। কিন্তু আমরা যা খেলছি, তাতে ৯০ মিনিটেই ফয়সালা করে দিতে পারি ম্যাচটার। কাজটা কঠিন। কিন্তু সে ক্ষমতা আছে আমাদের।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE