এশিয়া কাপে বেশ ভাল ফর্মে রয়েছেন অভিষেক শর্মা। প্রতি ম্যাচেই ভারতের ইনিংস শুরু করছেন আগ্রাসী মেজাজে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ফাইনালেও তিনি সূর্যকুমার যাদবের দলের অন্যতম ভরসা। দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেওয়ার পাশাপাশি এশিয়া কাপ ফাইনালে ১১টি নজির গড়তে পারেন তরুণ ব্যাটার।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অভিষেক এখন বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটার। ৬ ম্যাচে ৩০৯ রান করেছেন। তিনিই ফাইনালের আগে পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। দেখে নেওয়া যাক, রবিবার তিনি কী কী নজির গড়তে পারেন।
১) কোনও টি-টোয়েন্টি সিরিজ় বা প্রতিযোগিতায় ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ রানের নজির গড়তে পারেন অভিষেক। ভেঙে দিতে পারেন বিরাট কোহলির ৩১৯ রানের রেকর্ড। ২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ছ’টি ম্যাচ খেলে ৩১৯ রানে করেন কোহলি।
২) টেস্ট খেলিয়ে দেশগুলির ক্রিকেটারদের মধ্যে কোনও টি-টোয়েন্টি সিরিজ় বা প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ রানের নজির গড়ার সুযোগ রয়েছে অভিষেকের সামনে। ২০২৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে ফিল সল্ট পাঁচ ম্যাচে ৩৩১ রান করেছিলেন। তাঁর রেকর্ড ভাঙতে অভিষেকের প্রয়োজন ২৩ রান।
৩) ফাইনালে ৯১ রান করতে পারলে টেস্ট খেলিয়ে দেশগুলির প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে নজির গড়বেন অভিষেক। কোনও টি-টোয়েন্টি সিরিজ় বা প্রতিযোগিতায় প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে ৪০০ রানের মাইল ফলক স্পর্শ করবেন তিনি।
৪) ফাইনালে ৯৪ রান করতে পারলে বিশ্বরেকর্ড গড়বেন অভিষেক। কোনও টি-টোয়েন্টি সিরিজ় বা প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ রানের নজির রয়েছে কানাডার অ্যারন জনসনের। তিনি ২০২২ সালে ডেজার্ট কাপ টি২০ সিরিজ়ে সাত ম্যাচে ৪০২ রান করেছিলেন। তাঁর বিশ্বরেকর্ড ভাঙার সুযোগ রয়েছে বাঁহাতি ব্যাটারের সামনে।
৫) টানা সাতটি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ ৩০ বা তার বেশি রান করেছেন অভিষেক। ফাইনালেও ৩০ রান করতে পারলে টানা আটটি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে ৩০ বা তার বেশি রান করবেন। যে কৃতিত্ব বিশ্বে আর কোনও ক্রিকেটারের নেই। টানা সাতটি ম্যাচে ৩০ বা তার বেশি রান করার নজির রয়েছে রোহিত শর্মা এবং মহম্মদ রিজ়ওয়ানেরও।
৬) কোনও এশিয়া কাপে ভারতের হয়ে সবচেয়ে বেশি ৩৭২ রান করার নজির রয়েছে সুরেশ রায়নার। তিনি ২০০৮ সালের এশিয়া কাপে ৩৭২ রান করেছিলেন। ফাইনালে অভিষেক ৬৪ করতে পারলে রায়নাকে টপকে যাবেন।
৭) কোনও এশিয়া কাপে সর্বোচ্চ রান করার নজির রয়েছে শ্রীলঙ্কার সনৎ জয়সূর্যের। ২০০৮ সালের এশিয়া কাপে জয়সূর্য করেছিলেন ৩৭৮ রান। ফাইনালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৭০ রান করলেই জয়সূর্যের রেকর্ড ভেঙে দেবেন অভিষেক।
৮) এ বারের এশিয়া কাপে অভিষেকের ব্যাট থেকে এসেছে ৫০টি চার এবং ছক্কা। কোনও টি-টোয়েন্টি সিরিজ় বা প্রতিযোগিতায় সর্বোচ্চ বাউন্ডারি মারার নজির রয়েছে কানাডার অ্যারন জনসনের। তিনি ২০২২ সালে ডেজার্ট কাপ টি২০ সিরিজ়ে ৬৫টি চার এবং ছয় মেরেছিলেন। নতুন নজির গড়তে ফাইনালে অভিষেকের প্রয়োজন আরও ১৬টি বাউন্ডারি।
৯) এ বারের এশিয়া কাপে তিনটি অর্ধশতরানের ইনিংস খেলেছেন অভিষেক। কোনও এক বারের এশিয়া কাপে তিনটি করে অর্ধশতরানের নজির রয়েছে কোহলি, রিজ়ওয়ান এবং পাথুম নিশঙ্কার। তাঁরা ২০২২ সালের এশিয়া কাপে তিনটি করে অর্ধশতরান করেছিলেন। অভিষেক ফাইনালেও অর্ধশতরান করতে পারলে একসঙ্গে টপকে যাবেন তিন ক্রিকেটারকে। গড়বেন নতুন নজির।
আরও পড়ুন:
১০) টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের এশিয়া কাপে সর্বোচ্চ রান নিশঙ্কের। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ৪৩৪ রান। দ্বিতীয় স্থানে থাকা কোহলির ঝুলিতে ৪২৯ রান। দু’জনকেই টপকে যেতে পারেন অভিষেক। কোহলিকে টপকালে গড়েন ভারতীয় নজির। নিশঙ্ককে টপকালে গড়বেন এশীয় নজির।
১১) ফাইনালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৫০ রান করতে পারলে প্রথম ভারতীয় ক্রিকেটার হিসাবে টানা চারটি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিকে অর্ধশতরান করার নজির গড়বেন অভিষেক।