এশিয়া কাপ ফাইনালে ভারত-পাকিস্তান লড়াই ঘিরে কড়া নিরাপত্তা দুবাইয়ে। যে কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তৎপর দুবাই পুলিশ। নিরাপত্তার স্বার্থে একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। স্টেডিয়ামে বাড়ানো হচ্ছে নিরাপত্তাকর্মীর সংখ্যাও।
প্রস্তুত সূর্যকুমার যাদবেরা। প্রস্তুত সলমন আলি আঘারা। প্রস্তুত দুবাই। প্রস্তুত দুবাই পুলিশও। এশিয়া কাপ ফাইনাল ঘিরে উন্মাদনা তুঙ্গে। স্টেডিয়ামের ২৮ হাজার টিকিটই বিক্রি হয়ে গিয়েছে। এশিয়া কাপের ইতিহাসে এই প্রথম ফাইনালে মুখোমুখি ভারত-পাকিস্তান। তাই নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিযোগিতায় ভারত-পাকিস্তানের প্রথম দু’টি ম্যাচেই পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলা এবং অপারেশন সিঁদুরের প্রভাব পড়েছে। উত্তাপের আঁচ পড়তে পারে ফাইনালেও। তাই বাড়তি সতর্ক আয়োজকেরা। দুবাই পুলিশও।
সুষ্ঠু ভাবে ফাইনাল আয়োজন করতে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আইন ভাঙলে বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করলে কড়া আইনি ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিয়েছে পুলিশ। ক্রিকেটপ্রেমীদের হাতে সময় নিয়ে স্টেডিয়ামে পৌঁছোতে বলেছেন আয়োজকেরা। প্রত্যেককে পরীক্ষা করে স্টেডিয়ামের ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হবে। বার্তা দেওয়া হয়েছে, নিরাপত্তা সংক্রান্ত সব বিধিনিষেধ মেনে ক্রিকেট উপভোগ করার।
আয়োজকেরা একটি নির্দেশিকা প্রকাশ করেছেন। তাতে বলা হয়েছে,
১) খেলা শুরুর অন্তত ৩ ঘণ্টা আগে স্টেডিয়ামে পৌঁছোতে হবে দর্শকদের।
২) একটি বৈধ টিকিটে এক জন স্টেডিয়ামে ঢুকতে পারবেন। এক বার বেরিয়ে গেলে আর ঢোকা যাবে না।
৩) নিরাপত্তা কর্মীদের নির্দেশ মেনে চলতে হবে। স্টেডিয়ামের বিভিন্ন জায়গায় লাগানো বোর্ডে লেখা সব নিয়ম মেনে চলতে হবে।
৪) নির্দিষ্ট জায়গাতেই শুধু মাত্র গাড়ি রাখা যাবে। যেখানে সেখানে গাড়ি দাঁড় করিয়ে ওঠা-নামা করা যাবে না।
৫) যে সব জিনিস নিয়ে স্টেডিয়ামে ঢোকা নিষিদ্ধ, তা কঠোর ভাবে মেনে চলতে হবে।
কী কী জিনিস নিয়ে ঢোকা যাবে না স্টেডিয়ামে? তালিকায় বলা হয়েছে, আতসবাজি, মশালজাতীয় জিনিস, লেজার পয়েন্টার, যে কোনও রকম দাহ্য পদার্থ, বিপজ্জনক উপকরণ, অস্ত্র, ধারালো বস্তু, বিষাক্ত পদার্থ, রিমোট কন্ট্রোলড ডিভাইস (যেমন ড্রোন), বড় ছাতা, বড় পতাকা, সেলফি স্টিক, ট্রাই পড, আয়োজকদের অনুমোদনহীন ব্যানার, ফ্লেক্স বা পতাকা, কাচের সামগ্রী।
আরও পড়ুন:
দর্শক, ক্রিকেটার-সহ সংশ্লিষ্ট সকলের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে চান আয়োজকেরা। দুবাই পুলিশও কোনও রকম নমনীয়তা দেখাতে রাজি নয়। যে কোনও রকম অশান্তি তৈরির চেষ্টা দেখলেই কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।