রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র ব্যাটালিয়নের কমান্ডান্ট পদে কর্মরত ছিলেন দেবশ্রী।
জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল রাজ্য পুলিশের এক শীর্ষ আধিকারিকের। দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকের গাড়ির চালক এবং দেহরক্ষীও। ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের উপর হুগলির দাদপুর থানা এলাকায়।
রাজ্য সশস্ত্র পুলিশের ১২ ব্যাটালিয়নের কমান্ডান্ট পদে কর্মরত ছিলেন দেবশ্রী চট্টোপাধ্যায়। কলকাতা পুলিশের ইতিহাসে থানার প্রথম মহিলা ওসিও ছিলেন দেবশ্রী। বৃহস্পতিবার রাতে তিনি শিলিগুড়ির ডাবগ্রামে ব্যাটালিয়নের সদর দফতর থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন। কলকাতার পর্ণশ্রী এলাকায় তাঁর বাড়ি।
হুগলি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ দাদপুর থানা এলাকায় জাতীয় সড়কের উপরে একটি বালি বোঝাই ট্রাকের পিছনে ধাক্কা মারে দেবশ্রীর গাড়ি। প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে পুলিশ জানতে পেরেছে, প্রচণ্ড গতিতে ছিল পুলিশ আধিকারিকের গাড়ি। বালির ট্রাকটি রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে ছিল। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। প্রচণ্ড গতিতে ধাক্কার অভিঘাতে দুমড়ে মুচড়ে গিয়েছিল পুলিশ আধিকারিকের দেহ।
দুর্ঘটনায় দুমড়েমুচড়ে যায় গাড়িটি।
দেবশ্রী এবং তাঁর গাড়ির চালক মনোজ সাহা ও দেহরক্ষী তাপস বর্মনকে চুঁচুড়ার ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাপসবাবুর বাড়ি কোচবিহারে এবং মনোজ সাহা মালদহের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন:রাজ্যে আজ লকডাউন, নিটের জন্য কাল নয়
দেবশ্রী চট্টোপাধ্যায় কলকাতা পুলিশে সাব ইনস্পেক্টর হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন। কলকাতা পুলিশের অন্যতম দক্ষ অফিসার বলে পরিচিত ছিলেন তিনি। দীর্ঘ দিন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগে কর্মরত ছিলেন তিনি। এর পর তিনি কলকাতার উত্তর বন্দর থানার ওসির দায়িত্বও পালন করে। পরবর্তীতে পদোন্নতি পেয়ে তিনি রাজ্য পুলিশে বদলি হয়ে যান। রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র ব্যাটালিয়নের দায়িত্ব পান। তাঁর স্বামীও কলকাতা পুলিশের আধিকারিক ছিলেন। তিনি স্বেচ্ছা অবসর নেন। তাঁদের এক ছেলে রয়েছে।
আরও পড়ুন:আগামী সপ্তাহে চালু ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোও
হুগলি পুলিশের তদন্তকারীদের অনুমান, কোনও ভাবে দেবশ্রীর গাড়ির চালক ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। আর সেই কারণেই ভোরের দিকে ঘুমের মধ্যেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে লরির পিছনে ধাক্কা মারে তাঁদের গাড়ি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy