বিক্ষোভ: সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সিপিএমের মিছিল। ধর্মতলায় সোমবার। নিজস্ব চিত্র
সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করে নিয়ে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকে দুই কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভেঙে দিয়েছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। সিপিএম এবং কংগ্রেসের আশঙ্কা, দেশের গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক কাঠামোকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার এখন ভেঙেই চলবে। বাংলা-সহ দেশের যে কোনও রাজ্যেই কেন্দ্রের থাবা নেমে আসতে পারে। বাংলা বিভাজনের কোনও চেষ্টা হলে তার সর্বাত্মক বিরোধিতার ডাক দিয়ে রাখল দুই দলই। এবং তেমন পরিস্থিতিতে তৃণমূলের সঙ্গে যাওয়া বা না যাওয়া ‘গৌণ’ হয়ে যাবে বলেই তাদের ইঙ্গিত। তবে কেন্দ্রের কাশ্মীর সিদ্ধান্তের দিনে তৃণমূলের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নই তুলেছেন সিপিএম ও কংগ্রেস নেতৃত্ব। তৃণমূল অবশ্য এই প্রশ্নে নীরব।
মুজফ্ফর আহমেদের (কাকাবাবু) ১৩১তম জন্মদিনে সোমবার মহাজাতি সদনে সিপিএমের সভার মূল বিষয়বস্তুই হয়ে উঠেছিল কাশ্মীর পরিস্থিতি। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র সেখানে বলেন, ‘‘কাশ্মীরে যা করল বিজেপির সরকার, যে কোনও দিন বাংলাকে ভেঙে দিতে তাদের কত ক্ষণ লাগবে? গণতন্ত্র, সংবিধান, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে রক্ষা করতে আমাদের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই করতে হবে। নবান্নে যিনি বসে আছেন, তিনি এটা ঠেকাতে পারবেন না। নানা মন্তব্য করে তিনি বরং এর আগে পরিস্থিতি জটিল করেছেন।’’ দলের পলিটব্যুরো সদস্য মহম্মদ সেলিমও বলেন, ‘‘বিষয়টা শুধু ৩৭০ ধারা বা কাশ্মীরের নয়। প্রশ্নটা গণতন্ত্র এবং সংবিধানকে দুরমুশ করার।’’
ধর্মতলা থেকে এ দিনই মহাজাতি সদন পর্যন্ত কলকাতা জেলা সিপিএমের প্রতিবাদ মিছিলে যোগ দেন বিমান বসু, সূর্যবাবু, সেলিমেরা। মিছিল করে সিপিআই (এম-এল) লিবারেশন ও এসইউসিও। রাজ্য জুড়ে আগামী ৭ থেকে ১৪ অগস্ট প্রচার চালিয়ে ১৫ অগস্ট সর্বত্র বিক্ষোভ-সভা করবে বামেরা। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রও এ দিন বিবৃতি দিয়ে বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে ধ্বংস করে মোদী সরকার নির্বাচিত রাজ্য সরকারগুলির ক্ষমতা দখল করতে চাইছে। আমাদের আশঙ্কা, সাংবিধানিক ক্ষমতার অপপ্রয়োগ করে আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গের অখণ্ডতার উপরে মোদী সরকার কি আঘাত হানতে চলেছে’?
কিন্তু বাংলার অখণ্ডতা রক্ষার লড়াই বাস্তবে করতে হলে সেখানে তৃণমূলেরও ভূমিকা আসবে? পরে এই প্রশ্নে সেলিম বলেন, ‘‘রাজ্যের স্বার্থ, সংবিধান রক্ষার লড়াই তখন অগ্রাধিকার হবে। তৃণমূলের থাকা বা না থাকা তখন গৌণ। তৃণমূল তো আজই রাজ্যসভায় মুখে বিরোধিতা করেও ভোটদানে বিরত থেকেছে।’’ তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য বলেছেন, তাঁরা এখন এই বিষয়ে মন্তব্য করতে চান না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy