প্রতীকী ছবি।
কোভিড হোক বা লকডাউন, কোনও কিছুই রাজ্যের সুরাপায়ীদের ঠেকিয়ে রাখতে পারেনি। পরিসংখ্যান অন্তত সে রকম ইঙ্গিতই দিচ্ছে। এ বছরের মে থেকে অগস্ট পর্যন্ত রাজ্যে মদ বিক্রি থেকে পাওয়া শুল্ক গত বছর এই সময়ে যা ছিল তার থেকে মাত্র ২ শতাংশ কম!
মার্চ থেকে টানা লকডাউনের সময় মদের দোকান বন্ধ থাকলেও, গত ৪ মে থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে কনটেনমেন্ট জোনের বাইরে মদের দোকান খোলার অনুমতি দেয় রাজ্য। ৪২ দিন পুরো বন্ধ ছিল মদের দোকান। রাজ্য আবগারি দফতর থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ বছর মে থেকে অগস্ট পর্যন্ত মদ বিক্রি থেকে রাজ্যের কোষাগারে জমা পড়েছে ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বেশি। গত বছর এই সময়ে, অর্থাৎ মে থেকে অগস্ট পর্যন্ত রাজ্যের আয় হয়েছিল ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। এই পরিসংখ্যান থেকে স্পষ্ট, লকডাউন বা কোভিড পরিস্থিতিতে মদ বিক্রিতে খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারেনি। এই চার মাসের মধ্যেও জুলাই এবং অগস্ট মিলিয়ে ১০ দিন লকডাউন ছিল। ওই দিনগুলোতে মদের দোকান বন্ধ ছিল। গত বছরে ওই সময়ে এ রকম কোনও বন্ধ ছিল না।
তার পরেও এই আয় মুখে হাসি ফুটিয়েছে আবগারি দফতরের কর্তাদের। তবে তাঁরা স্বীকার করেছেন, গত বছরের থেকে বিক্রির পরিমাণ বেশ খানিকটা কমেছে। রাজ্যে প্রায় ২৫০০ মদের অফ শপ রয়েছে। এক দোকানদারের কথায়, ‘‘রাজ্য সরকার মদের উপর ৩০শতাংশ বাড়তি কর ধার্য করায় করের ঘাটতি হয়নি তেমন। তবে মদের বিক্রির পরিমাণ কমেছে।”
ইতিমধ্যেই বিক্রেতাদের সংগঠন একাধিক বার রাজ্যকে ওই বাড়তি কর প্রত্যাহার করতে অনুরোধ করেছে। কারণ, বিক্রি কম হলে রাজ্যের করের দিক থেকে তেমন কোনও লোকসান হচ্ছে না, তবে ঘাটতি হচ্ছে বিক্রেতাদের ব্যাবসায়। আবগারি দফতরের একটি সূত্রের ইঙ্গিত, তারা বাড়তি কর প্রত্যাহারের কথা বিবেচনা করছেন।
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy