গাড়ি থেকে নেমে পুলিশের সঙ্গে বচসা তরুণীর। —নিজস্ব চিত্র
লকডাউনের মধ্যে কোথায় যাচ্ছেন? এই প্রশ্ন করায় পুলিশের গায়ে মুখের লালা এবং লিপস্টিক লাগিয়ে দিলেন এক তরুণী। পুলিশ ওই তরুণী এবং তাঁর সঙ্গীকে আটক করেছে। বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে সল্টলেকের পিএনবি মোড়ে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিনবেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ সল্টলেকের পিএনবি মোড়ে রুটিন নাকা চলছিল। সেই সময়ে একটি ছোট গাড়ি সল্টলেকের দিকে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ গাড়িটি আটকায়। গাড়ির গায়ে উবরের স্টিকার ছিল। ভিতরে ছিলেন এক তরুণী এবং এক যুবক। পুলিশ গাড়িটি আটকে প্রথমে চালককে প্রশ্ন করে, কেন তিনি আরোহী-সহ বাইরে বেরিয়েছেন? পুলিশের দাবি, ওই চালক দাবি করেন গাড়ির আরোহী ওষুধ কেনার জন্য বেরিয়েছেন। অভিযোগ, পুলিশ কর্মীরা গাড়িচালক এবং আরোহীদের কাছ থেকে ওযুধের প্রেসক্রিপশন চাইলে তাঁরা তা দেখাতে পারেননি।এর পরেই গাড়ির আরোহী তরুণীর সঙ্গে পুলিশকর্মীদের তর্ক শুরু হয়।
দু’পক্ষেরমধ্য এর পর বচসা বাধে। তার মাঝেই হঠাৎ ওই আরোহী তরুণী উম্নত্তের মতো গাড়ি থেকে নেমে আসেন এবং নাকার দায়িত্বে থাকা সাব ইনস্পেক্টর সুমন ভট্টাচার্যের গায়ে লালাছিটিয়ে দেন। এর পর ওইতরুণী তাঁর ঠোঁটের লিপস্টিকও পুলিশ অফিসারের উর্দিতে ঘষে দেন বলে অভিযোগ পুলিশের। লিপস্টিকেররং লেগে যায় পুলিশ আধিকারিকের উর্দিতে।
আরও পড়ুন: করোনা ত্রাণে সাহায্য করুন, আর্জি মমতার
এর পরেই পুলিশকর্মীরা ঘিরে ধরেন ওই তরুণীকে। খবর দেওয়া হয় বিধাননগর উত্তর থানায়। সেখান থেকে মহিলা পুলিশকর্মীরা এসে ওই তরুণী এবং তাঁর সঙ্গীকে আটক করে নিয়ে যান। প্রাথমিক ভাবে পুলিশকে ওই গাড়িচালক জানিয়েছেন, ওই তরুণীর বাড়ি পিকনিক গার্ডেনে। গাড়িচালকের পরিচিত তিনি। চালকের দাবি, তিনি একটি অ্যাপ-ক্যাব সংস্থার সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু, সেই সংস্থা আপাতত গাড়ি পরিষেবা বন্ধ রেখেছে। তিনি বলেন, ‘‘আমার পরিচিত ওই তরুণী প্রথমে মেডিক্যাল কলেজের দিকে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে একটি দোকানে যান খাবার এবং নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে।” চালক পুলিশকে জানিয়েছেন, অনেক ক্ষণ ধরে জিনিসপত্রের খোঁজে ঘুরছিলেন ওই তরুণী। পুলিশের সঙ্গে বচসার সময়েও ওই তরুণী নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার জন্য বেরিয়েছেন বলে দাবি করেছেন।
দেখুন সেই ভিডিয়ো:
আরও পড়ুন: করোনায় আক্রান্ত বিলেতফেরত ছেলে, ঘুরে বেড়ালেন ডিএসপি বাবা
বিধাননগর পুলিশ সূত্রে খবর, ওই তরুণীর বিরুদ্ধে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া, পুলিশ কর্মীকে আঘাত করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy