Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus in West Bengal

৫০% কর্মী দিয়ে কাজ সরকারি দফতরে

আগামী কিছু দিন সংক্রমণ বাড়বে বলে জানিয়ে সরকারি দফতরগুলিতে তা মোকাবিলার পন্থাও বাতলেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।—ছবি পিটিআই।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।—ছবি পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২০ ০৩:৫০
Share: Save:

সরকার ভগবান নয়। সরকারেরও সীমাবদ্ধতা রয়েছে। করোনা নিয়ে তাঁর সরকারের সমালোচকদের বৃহস্পতিবার এ ভাবেই বিঁধলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘‘বাংলার সরকার সবচেয়ে বেশি কাজ করেছে। তার পরেও রাজনীতির শেষ নেই।’’

পাশাপাশি, আগামী কিছু দিন সংক্রমণ বাড়বে বলে জানিয়ে সরকারি দফতরগুলিতে তা মোকাবিলার পন্থাও বাতলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন, ‘‘সব দফতরে সপ্তাহে এক দিন করে স্যানিটাইজ়েশন হবে। ৭০% কর্মী আনার দরকার নেই। ৫০% কর্মী দিয়েই কাজ চালাতে হবে।’’

মমতার অভিযোগ, ‘‘ভেবেছিলাম কেন্দ্রের থেকে ১০ হাজার ভেন্টিলেটর পাব, অক্সিজেন সিলিন্ডার পাব, মাস্ক পাব, পিপিই পাব। কিছুই পাইনি।’’ তাঁর কটাক্ষ, ‘‘ভোটের সময় তো সব এজেন্সিকে নামাবেন। এখন থেকেই নেমন্তন্ন দিতে শুরু করেছে। সে আমি বুঝে নেব। কিন্তু অতিমারির সময়েও রাজনীতি করতে হবে?’’

মুখ্যমন্ত্রীর মতে, এত রোগী আসাটাই প্রমাণ করে যে এ রাজ্যে সরকারি হাসপাতালের উপর মানুষের আস্থা রয়েছে। অন্য রাজ্যে সরকারি হাসপাতালে লোকে যান না। সরকারি হাসপাতালে বেড পাওয়া যাচ্ছে না, এ অভিযোগ ঠিক নয় বলেও তাঁর দাবি।

মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা

• সব মিলিয়ে আরও ৩৫০০ করোনা শয্যা

• বেসরকারি হাসপাতালকে শয্যা বাড়ানোর নির্দেশ

• সরকারি অফিসে কর্মীর সংখ্যা কমে ৫০%

• বেসরকারি অফিসে বাড়ি থেকে কাজের ব্যবস্থা

• ব্যাঙ্ক ২টো পর্যন্ত খোলা। শনি-রবি ছুটির চিন্তা

মুখ্যমন্ত্রী জানান, কলকাতার সব রোগী তো কলকাতার বাসিন্দা নয়। আশপাশের জেলা থেকেও রোগী আসছেন। ফলে কলকাতায় সংক্রমণ মাত্রাছাড়া হয়ে গিয়েছে বলে যে গেল গেল রব উঠেছে, তা ঠিক নয়। তবে আগামী কিছু দিন সংক্রমণ বাড়বে।

অন্য দিকে, এম আর বাঙুর হাসপাতালের ৫২ জন করোনা রোগীকে বুধবার বাড়ি বা সেফ হোমে পাঠাতে চেয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। কিন্তু রোগীরা জানান, তাঁরা ১৪ দিন থাকবেন, নেগেটিভ রিপোর্ট আসার পর বাড়ি ফিরবেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘ডাক্তাররা বল‌ছেন, তা-ও মানতে চাইছেন না। হাসপাতালে আসার পর বাড়ি যেতে না চাইলে তো সমস্যা।’’

মুখ্যমন্ত্রীর আক্ষেপ, কলকাতায় কমিউনিটি সেন্টার বা সেফ হোম তৈরি করা যাচ্ছে না। সবাই নিজেদের এলাকায় কোভিড হাসপাতাল, কোয়রান্টিন সেন্টার, সেফ হোম করতে দিতে নারাজ। তাঁর কথায়, ‘‘যদি নিজের এলাকায় চিকিৎসা পরিকাঠামো গড়তে না দেন, তা হলে আক্রান্ত হলে যাবেন কোথায়?’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE