ছবি: এএফপি।
ভিন্ রাজ্যের নার্সদের রাজ্য ছাড়ার সংখ্যা কার্যত দ্বিগুণ হল শনিবার। এ দিন ভিন্ রাজ্যের আরও ১৬৯ জন নার্স বাড়ি ফিরে গিয়েছেন বলে খবর। এর ফলে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে স্বাস্থ্য পরিষেবা সঙ্কটের দিকে আরও এক ধাপ এগিয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
এ নিয়ে মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়ে ‘অ্যাসোসিয়েশন অব হসপিটালস ইন ইস্টার্ন ইন্ডিয়া’ বলেছে, মণিপুর সরকার নার্সদের ফেরার জন্য আকর্ষণীয় স্টাইপেন্ড দিচ্ছে। কেরল, ত্রিপুরা, ওড়িশার নার্সরাও ফিরতে পারেন বলে তাদের আশঙ্কা। এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছে সংগঠন। নার্সিং কাউন্সিল অব ইন্ডিয়াকেও চিঠি দেওয়ার কথা ভাবছে তারা।
শুক্রবার বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত মণিপুরের ১৮৫ জন নার্স ফিরে যাওয়ার বিষয়টি সামনে আসে। এ দিন ফিরে যাওয়া নার্সদের মধ্যেও ৯২ জন মণিপুরের। বাকিদের মধ্যে ত্রিপুরার ৪৩, ওড়িশার ৩২ এবং ঝাড়খণ্ডের ২ জন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: নমুনা-পরীক্ষা বেড়েছে, কমেছে আক্রান্তের হার
তিন দিনে আমরি গ্রুপের তিনটি হাসপাতাল থেকে ৮৩ জন নার্স কাজ ছেড়ে গিয়েছেন। আমরি গ্রুপের সিইও রূপক বড়ুয়া জানান, ভিন্ রাজ্যের নার্সরা যাতে কাজ না-ছাড়েন তার কাউন্সেলিং হচ্ছে। তবে সরকারি সাহায্য ছাড়া সমাধান মুশকিল।
দু’সপ্তাহ পরিষেবা বন্ধ থাকার পরে আগামিকাল, সোমবার ফের পরিষেবা চালু করতে চলেছে পিয়ারলেস হাসপাতাল। ভিন্ রাজ্যের নার্সদের গৃহমুখী হওয়ার বিষয়টি তাদের ভাবাচ্ছে। হাসপাতালের সিইও সুদীপ্ত মিত্র বলেন, ‘‘রোগী কম থাকায় পরিষেবায় দিতে অসুবিধা হচ্ছে না। রোগী বাড়লে পরিস্থিতি জটিল হবে।’’
আরও পড়ুন: বুধবার ভোরে ‘আমপান’ স্থলভূমিতে ঢুকতে পারে, বঙ্গে আছড়ে পড়ার আশঙ্কা ৭০ শতাংশ
প্রশাসন সূত্রে খবর, কলকাতায় কত নার্স কাজ করেন, তাঁদের কত জন ভিন্ রাজ্যের, কত জন কাজ ছেড়েছেন, এমন তথ্য জানতে চেয়ে বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে চিঠি দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
এ বিষয়ে বিজেপির আইটি সেলের নেতা মনোজ মালবীয় টুইট করে বলেছেন, করোনা আক্রান্ত হওয়ার ভয়েই নার্সরা ফিরে যাচ্ছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy