ঘটনার পর স্কুলের সামনে অসম রাইফেলসের জওয়ানরা। নিজস্ব চিত্র।
নিজেদের মধ্যে বচসার জেরে গুলির লড়াই কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, সেই লড়াইয়ে প্রাণ হারিয়েছেন এক জওয়ান। গুলিবিদ্ধ হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থা আরও দুই জওয়ানের।
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সকালে হাওড়ার বাগনানে। সোমবার উলুবেড়িয়া কেন্দ্রে নির্বাচন। সে জন্য বাগনানের বাঙালপুর জ্যোতির্ময়ী গার্লস হাইস্কুলে তৈরি হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর শিবির। অসম রাইফেলস্-এর সেভেন্থ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা সেখানে শিবির করে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এ দিন সকালে এলাকার মানুষ স্কুলের ভিতর থেকে গুলির আওয়াজ পান। তার পরেই স্কুলের মধ্যে জওয়ানদের ছোটাছুটি শুরু হয়ে যায়। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, কোনও বিষয় নিয়ে দুই জওয়ানের মধ্যে বচসা শুরু হয়ে যায়। বচসায় জড়িয়ে পড়েন আরও কয়েক জন। সেই বচসার মধ্যেই গুলি চলে। পুলিশ সূত্রে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, মোট ১৩ রাউন্ড গুলি চলেছে।
আরও পড়ুন: এখানে এক জন গদ্দার ছিল, তাঁকে টিকিট দিইনি, ভাটপাড়ায় দাঁড়িয়ে অর্জুনকে তোপ মমতার
এসপি সরকারি ভাবে কিছু না জানালেও, জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে এক জনের। আহত অন্য আরও দু’জন। ঘটনাস্থলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর পদস্থ কর্তারা পৌঁছেছেন। অসম রাইফেলস্ সূত্র জানিয়েছে, ভোলানাথ দাস নামে এক সুবেদারের মৃত্যু হয়েছে। গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতেলে চিকিৎসাধীন রিন্টু বোধক এবং অনিল রাজবংশী নামে দুই জওয়ান। অসম রাইফেলস্ -এর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, গুলির লড়াই নয়, একজনই গুলি চালিয়েছে। অভিযুক্ত জওয়ান লক্ষীকান্ত বর্মনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন কমান্ডান্ট পদমর্যাদার আধিকারিক।
জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ঘটনাটি জানানো হয়েছে জেলা শাসক এবং মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরকেও। ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। তবে পুলিশ বা সংশ্লিষ্ট অসম রাইফেলস্ কেউ সুনির্দিষ্ট করে জানায়নি কীভাবে ঘটনাটি ঘটেছে। কোন ঘটনাকে কেন্দ্র করে গুলি চলল তাও জানানো হয়নি। তবে সূত্রের খবর, এসএলআর থেকে চালানো হয়েছে গুলি। সেই এসএলআর বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: অবিলম্বে মাসুদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হবে, চাপে পড়ে প্রতিক্রিয়া পাকিস্তানের
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy