ধৃত উৎপল বেহেরা। —ফাইল চিত্র।
জিয়াগঞ্জে খুনের ঘটনায় নিহতের আত্মীয়দের থানায় ডেকে তদন্তের গতিপ্রকৃতি জানাল পুলিশ। বৃহস্পতিবার সাগরদিঘি থানায় ডেকে পাঠানো হয় বন্ধুপ্রকাশ পাল এবং তাঁর স্ত্রী বিউটির পরিবারের লোকজনকে। তাঁদের দেখানো হয় নবমী এবং দশমীর সকালে জিয়াগঞ্জে উৎপল বেহেরার আনাগোনার বিভিন্ন ছবির ফুটেজ। ফেরিঘাটে তার টিকিট কাটা থেকে থানার বাঁকে সহজ ভঙ্গিতে উৎপলের হেঁটে যাওয়া— সব ছবিই ওই ফুটেজে ধরা পড়েছে বলে পুলিশের দাবি। দুই পরিবারের সামনে খুনের পুননির্মাণের ভিডিয়ো ফুটেজও তুলে ধরে পুলিশ এ দিন প্রমাণ করার চেষ্টা করে বন্ধুপ্রকাশ পালকে সপরিবার খুনের পিছনে উৎপলই মূল হোতা।
সাগরদিঘি থানায় ছিলেন মুর্শিদাবাদের এসপি মুকেশ কুমার। সেখানে দুই পরিবারের সামনে খুনের ঘটনায় সরাসরি উৎপলের যোগ থাকার বিভিন্ন তথ্য-প্রমাণ তুলে ধরে তিনিও বলেন, ‘‘আমরা নিশ্চিত এ খুন একা উৎপলই করেছে। জেরায় তা কবুলও করেছে সে।’’ তিনি জানান, খুন করার পরে দশমীর দুপুরে জিয়াগঞ্জ সদরঘাট থেকে নৌকায় ভাগীরথী পেরিয়ে আজিমগঞ্জ স্টেশনে ট্রেন ধরে সাহাপুরের বাড়িতে ফিরেছিল উৎপল। তার ভিডিয়ো ফুটেজ দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া কী ভাবে একা তিন জনকে পাঁচ মিনিটের মধ্যে খুন করে জিয়াগঞ্জের লেবুবাগান ছেড়েছিল, তাও জিয়াগঞ্জের বাড়িতে উৎপলকে নিয়ে গিয়ে পুনর্নির্মাণ করা হয়। এ দিন সেই ভিডিয়ো মোবাইলে দেখানো হয়েছে দুই পরিবারকে। আজ, শুক্রবার ওই দুই পরিবারের বেশ কয়েক জন সদস্যের নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে আসার কথা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy