একা ঘুরতে গিয়েও যে চুটিয়ে আনন্দ উপভোগ করা যায়, তা মধুমিতার ভিডিয়ো দেখেই স্পষ্ট। ছবি- সংগৃহীত
মধুমিতা সরকারের পাতের তলায় সর্ষে! হাতে লাঠি নিয়ে জঙ্গল, পাহাড় পেরিয়ে গট গট করে এগিয়ে চলেছেন অভিনেত্রী। রোমাঞ্চকর ভ্রমণের প্রতি যে এই টলি নায়িকার বেশ টান রয়েছে, তা তাঁর সোশ্যাল নেটমাধ্যমের প্রোফাইল ঘুরে এলে অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে যাবে।
সোলো ট্রিপ তিনি এর আগেও করেছেন। একা একা পাহাড়ের বুকে ঘুরে বেড়িয়েছেন তিনি। শ্যুটিং থেকে কয়েক দিনের বিরতি পেলেই মধুমিতা বেরিয়ে পড়েন বুনো গন্ধের টানে। এ বারে তাঁর গন্তব্য ছিল উত্তরাখণ্ডের মুসৌরি। সম্প্রতি নিজের ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে হাতিপাও-তে একা একাই ট্রেকিংয়ে বেরিয়ে পড়েছেন তিনি। পরনে জিন্স আর টিশার্ট। কাঁধে ব্যাগ, চোখে রোদচশমা! একা ঘুরতে গিয়েও যে চুটিয়ে আনন্দ উপভোগ করা যায়, তা মধুমিতার ভিডিয়ো দেখেই স্পষ্ট।
একা ঘুরতে গেলে নিজের সঙ্গে বেশি সময় কাটাতে পারি আমরা। শুনতে অদ্ভুত মনে হলেও এখনকার ব্যস্ত জীবনে ক্রমশ নিজের সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে আসে আমাদের। যার জন্য একটা সময় গ্রাস করে অবসাদ। সব কাজেকর্মে উৎসাহ হারাতে থাকার পিছনে এটা সাম্প্রতিককালে বেশ গুরুতর একটি কারণ। এই সমস্যা থেকে বাঁচতে মাঝেমধ্যে একা কোথাও ঘুরে আসা যেতেই পারে। একা ঘুরতে গেলে স্বাধীন ভাবে কিছুটা সময় কাটানো যায়। মানুষ হয়ে ওঠে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী। অনুকূল-প্রতিকূল সব পরিস্থিতি একা সামলানোর চেষ্টা করতে করতে নিজের সম্পর্কে ভরসা করতে শিখি আমরা সকলে। আর সেই কারণেই কর্মব্যস্ততার মাঝেও নিজের জন্য সময় বার করে প্রতি বছরই কোথাও না কোথাও ঘুরতে বেড়িয়ে পড়েন মধুমিতা।
ভিডিয়োতে হাতিপাওয়ের কয়েক ঝলক দেখে যেন দু’চোখ জুড়িয়ে যাচ্ছে। চারিদিকে পাইন আর দেবদারুর জঙ্গলে ঘেরা পাহাড়ের ঘন সবুজ দেয়াল। দেখে মনে হচ্ছে নিশ্চই ছুটি পেলে আপনিও বেড়িয়ে পরবেন এই পাহাড়ি গন্তব্যের উদ্দেশ্যে? ট্রেকিংয়ের জন্য এই স্থান আদর্শ। ভাবছেন কী ভাবে যাবেন?মুসৌরির লাইব্রেরি চক থেকে চার কিলোমিটার দূরত্বেই হাতিপাও। আপনি চাইলে সেখান থেকে ক্যাব কিংবা ট্যাক্সি ভাড়া করতে পারেন কিংবা ট্রেকিং করেও পৌঁছে যেতে পারেন হাতিপাও। দেরাদুন স্টেশন থেকে এই স্থানের দুরত্ব প্রায় ৩৪ কিলোমিটার। দেরাদুন বিমানবন্দর থেকে প্রায় ৬৬ কিলোমিটার।
কোথায় থাকবেন?হাতিপাও এককটি ‘ভিউ পয়েন্ট’! এখানে আশপাশে কোনও জনবসতি নেই। এই স্থানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বেশ উপভোগ্য করা যেতে পারে। এই স্থানে থাকার কোনও ব্যবস্থা নেই। এখানে আসতে হলে আপনাকে দেরাদুন বা মুসৌরিতেই থাকতে হবে। দুই জায়গাতেই অনেক হোটেল, হোমস্টে আছে। ৬০০ টাকা থেকে শুরু করে ৬০০০ টাকার হোটেলও আছে। মুসৌরিতে আরও অনেক ঘোরার জায়গা আছে। মুসৌরিতে গেলে কেমটি ফল্স, গান হিল পয়েন্ট, মুসৌরি লেক, কোম্পানি গার্ডেন, ঝারিপানি ফল্স সহ একাধিক স্থানে ঢুঁ মারতেই পারেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy