ঝাঁ-চকচকে রাস্তা দিয়ে ছুটে চলছে একের পর এক গাড়ি। হঠাৎ করেই ছন্দপতন। ব্রেক কষে গাড়ি দাঁড় করাতে বাধ্য হলেন গাড়ি ও বাইকচালকেরা। রাস্তা জুড়ে বহাল তবিয়তে বসে আছে ‘জঙ্গলের রাজা’। বন থেকে বেরিয়ে একটি প্রমাণ মাপের বাঘকে রাস্তার মাঝখানে বসে পড়তে দেখা যায়। তাতেই বেশ কিছু ক্ষণের জন্য যানবাহন থমকে থাকে মহারাষ্ট্রের চন্দ্রপুর-মোহরলি সড়কে। সেই ঘটনারই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে। ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিয়োটি। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে মহারাষ্ট্রের চন্দ্রপুরের তাডোবার বাফার জ়োনের কাছে সড়কের মাঝে বসে আছে বাঘটি। আন্ধেরি তাডোবা ব্যাঘ্র সংরক্ষণ অঞ্চল থেকে বেরিয়ে গাড়ির সামনে এসে রাস্তার ঠিক মাঝখানে বসে থাকে বাঘটি। ফলে সমস্ত গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ করে নিশ্চল হয়ে অপেক্ষা করতে থাকেন আরোহীরা। বেশ কিছু সময় ধরে যানবাহন পুরোপুরি স্তব্ধ হয়ে যায় এলাকায়। প্রত্যেকেই নিঃশ্বাস আটকে, গাড়ির জানালা খুলে স্থির হয়ে থাকেন। কখন ‘মহারাজ’ পথ ছেড়ে দেবেন তার অপেক্ষায়।
সংবাদ প্রতিবেদন অনুসারে, বাঘটি সংরক্ষিত অঞ্চলের বিখ্যাত বাঘিনী ‘মধু’র বংশধর হতে পারে। স্থানীয় এক বাসিন্দা সেই সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন। দৃশ্যটি ক্যামেরাবন্দি করেন তিনি। বাঘটিকে শান্ত ভাবে রাস্তায় গড়াগড়ি খেতে দেখা যায়। সেই দৃশ্য দেখে পর্যটক এবং স্থানীয়েরা তাঁদের গাড়ির ভিতরেই আটকে থাকেন। বাইরে বেরোনোর অর্থ মৃত্যুর মুখোমুখি হওয়া। স্থানীয়েরা জানিয়েছেন, চন্দ্রপুর-মোহরলি সড়কে বাঘ দেখা এখন নিয়মিত দৃশ্য হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে সকাল ও সন্ধ্যায়, যখন বন্যপ্রাণীরা শিকার বা জলের সন্ধানে বার হয়। এই পথে বাঘের ঘন ঘন উপস্থিতি বিশেষ করে দু’চাকার যানবাহনের জন্য বিপদ বাড়িয়ে তুলেছে। বন বিভাগ এই পথে চলাচল করার সময় চরম সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছে। হর্ন বাজানো এড়িয়ে যেতে বলেছে। কোনও প্রাণী দেখলে গাড়ি থেকে না নামতে ও ধীরে ধীরে গাড়ি চালানোর নির্দেশ দিয়েছে।
ভিডিয়োটি ইনস্টাগ্রামের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা পর তা হাজার হাজার বার দেখা হয়েছে। প্রচুর মানুষ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তাতে। এক নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘বাঘটি বুঝিয়ে দিয়েছে এলাকা শাসন করে সে-ই।’’ অন্য এক জন লিখেছেন ‘‘কী রাজকীয় আচরণ!’’