Advertisement
E-Paper

গোসাবায় বিডিও অফিসের সামনে মন্ত্রী পৌঁছতেই ঘিরে ধরলেন বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা! ক্ষোভ বিধায়কের বিরুদ্ধে

মঙ্গলবার দুপুরে গোসাবায় বিডিও অফিসে প্রশাসনিক বৈঠকে গিয়েছিলেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা। সেই সময় স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ মন্ত্রীকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। তাঁদের অভিযোগ মূলত স্থানীয় তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০২৪ ১৬:০৮
মঙ্গলবার দুপুরে গোসাবায় গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা।

মঙ্গলবার দুপুরে গোসাবায় গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা। —নিজস্ব চিত্র।

ঘূর্ণিঝড় ‘ডেনা’র প্রভাবে গত সপ্তাহে উপকূলবর্তী অঞ্চলে কোথায় কী ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা খতিয়ে দেখছে রাজ্য সরকার। সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরাও দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবায় প্রশাসনিক বৈঠকে গিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিলেন জয়নগরের সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল, গোসাবার বিধায়ক সুব্রত মণ্ডল-সহ অন্য আধিকারিকেরা। কিন্তু বৈঠক শুরুর আগেই বিপত্তি। গোসাবার বিডিও অফিসে বৈঠকের কথা ছিল। দুপুর ১২টা নাগাদ মন্ত্রী বিডিও অফিসের সামনে পৌঁছতেই বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন এলাকাবাসীরা। অভিযোগ মূলত গোসাবার বিধায়কের বিরুদ্ধে। বিক্ষুদ্ধদের অভিযোগ, বিধায়ক এলাকার স্থানীয় মানুষজনদের থেকে টাকা তুলেছিলেন। কিন্তু পরে সেই টাকা ফেরত দেননি বলে অভিযোগ। কবে তাঁরা টাকা ফেরত পাবেন, সেই প্রশ্ন তুলে মন্ত্রী, বিধায়কের সামনেই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন এলাকাবাসীরা।

বিক্ষোভকারীদের দাবি, তাঁরা তৃণমূলেরই সমর্থক। সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বিক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষের সঙ্গে কিছু ক্ষণ কথা বলেন। তাঁদের ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা করেন। আশ্বাস দেন এই বিষয়টি তিনি মুখ্যমন্ত্রীর গোচরে আনবেন। বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমি আজ সরকারি কর্মসূচিতে এসেছি। যদি আপনারা চান, আমি এখান থেকে ফিরে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ঘটনার কথা জানাব।” কিন্তু সেই আশ্বাসে দৃশ্যত সন্তুষ্ট হননি বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীরা। কবে টাকা ফেরত পাওয়া যাবে, সে বিষয়ে তাঁরা বিধায়কের থেকে তৎক্ষণাৎ উত্তর চাইতে থাকেন। বিক্ষোভকারীদের হই হট্টগোলের মাঝে ক্ষণিকের জন্য দৃশ্যত রেগেও যেতে দেখা যায় মন্ত্রীকে। কিছুটা ধমক দিয়েই বলেন, “একটিও বাজে কথা যদি কেউ বলেন, তাঁর রেহাই নেই। আমি মন্ত্রী হিসাবে এখানে এসেছি।”

পরে বিডিও অফিসের ভিতরে তাঁরা প্রবেশ করার সময়েই বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন এলাকাবাসীরা। বিধায়ক সুব্রতকে বিভিন্ন ধরনের কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়। লোকসভা ভোটের সময় বিধায়ক কোথায় ছিলেন, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন এলাকাবাসীরা। আড়ালে আবডালে বিধায়ক তাঁর অনুগামীদের দিয়ে বিজেপির হয়ে কাজ করিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠে আসে। বিক্ষোভকারীদের ভিড় থেকে ভেসে আসে, “বিজেপির এমএলএ!” কেউ আবার বললেন, “আপনি বিধায়ক হওয়ার যোগ্য নন।” যদিও পরে এ বিষয়ে গোসাবার বিধায়কের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে, তিনি যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে অপপ্রচার করা হচ্ছে। চক্রান্ত করা হয়েছে।”

South 24 Parganas TMC
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy