প্রতীকী ছবি।
শিশুটিকে উল্টো করে পা ধরে পেন্ডুলামের মতো দোলানো হচ্ছে। কখনও গলা পা দিয়ে চেপে ধরে বেদম মার। মালদহের এক যুবকের এমন নৃশংসতা দেখে শিউরে উঠছেন ওই শিশুটির বাবা-মা। ভিডিয়োটি ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। প্রসেনজিৎ মণ্ডল নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করার দাবিও উঠেছে। আনন্দবাজার অনলাইন যদিও ওই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করা করেনি।
কাজের সূত্রে বাংলা থেকে বহু মানুষ হায়দরাবাদ-সহ দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন শহরে থাকেন। তেমনই মালদহের খুটাদহ গ্রামের বাসিন্দা প্রসেনজিৎ থাকে হায়দরাবাদের রাজীব নগরে। পেশায় ছাদ ঢালাইয়ের মিস্ত্রি সে। ওই বাড়িরই অন্য একটি অংশে থাকেন ওই একই গ্রামের পূর্ণ সরকার ও তাঁর স্ত্রী। পূর্ণ ও তাঁর স্ত্রী, দু’জনেই সকাল সকাল কাজে বেরিয়ে যেতেন। ওই সময় কখনও কখনও তাঁদের ছোট্ট সন্তানকে রেখে যেতেন প্রসেনজিতের কাছে। সেই রেখে যাওয়াই কাল হল। আচমকাই তাঁদের চোখে পড়ে একটি ভিডিয়ো। সেখানে তাঁরা দেখেন, কী ভাবে প্রসেনজিৎ তাঁদের সন্তানের উপর নৃশংস অত্যাচার চালাচ্ছে। শিশুটি কাঁদছে, তবুও রেহাই নেই! তার কাছে বছর চারেকের ওই শিশুটিকে দেখভালের জন্য রেখে গেলেও, তাকে দিয়ে বাড়ির বিভিন্ন কাজ করাত ওই যুবক। না পারলেই চলত এমন নৃশংস অত্যাচার।
নিগৃহীত শিশুর বাবা পূর্ণ আনন্দবাজার অনলাইনকে শুক্রবার বলেন, ‘‘আমার ছেলেকে এ ভাবে মারধর করত প্রসেনজিৎ, তা ভিডিয়ো না দেখলে বিশ্বাস করতে পারতাম না। আমি এখনও বুঝতে পারছি না, কেন ও আমার ছেলেকে এ ভাবে মারত! কী দোষ করেছিল ছোট্ট ছেলেটা? আমি এর সুবিচার চাই।’’ ঘটনাটি নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হওয়ার কথাও ভাবছেন পূর্ণ।
অত্যাচারের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পরই রাগে ফেটে পড়েন নেটাগরিকদের। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে কঠোর শাস্তির দাবি উঠতে থাকে নেটমাধ্যমে। অনেকে প্রসেনজিতের মানসিক সুস্থতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন। এই ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর থেকে প্রসেনজিৎ পলাতক বলে জানিয়েছেন পূর্ণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy