Advertisement
E-Paper

পিকনিক স্পটে গাছের ডাল থেকে ঝুলছে দেহ! আনন্দপুরে মৃতের পরিচয় নিয়ে ঘনাচ্ছে রহস্য

পুলিশ যখন দেহটি উদ্ধার করে, তখন তাতে পচন ধরতে শুরু করেছিল। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে আনন্দপুর থানার পুলিশ।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০২৫ ২২:০৭
An unknown person body recover from Anandapur area

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

দিন কয়েক আগেই আনন্দপুর থানা এলাকার এক খাল থেকে উদ্ধার হয় যুবক-যুবতীর দেহ। জোড়া মৃত্যুর পরতে পরতে ছিল রহস্য। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে আবার ইএম বাইপাসের ধারে আনন্দপুর এলাকার একটি গাছ থেকে এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল। মৃতের গলায় ছিল গামছার ফাঁস! কী ভাবে ওই গাছে দেহ এল, তা নিয়ে রহস্য দানা বাঁধছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, সোমবার দুপুর ১২টা নাগাদ বাইপাসের ধারের এক পিকনিক স্পটে গাছের ডাল থেকে ওই ব্যক্তির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। দেহটি মাটি থেকে ৫০-৬০ ফুট উঁচুতে ঝুলছিল। গলায় ছিল গামছার ফাঁস। দেহটিকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে উদ্ধার করে নীলরতন মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে চিকিৎসকেরা তাঁকে পরীক্ষা করে মৃত ঘোষণা করেন। মৃতের পরিচয় জানা না গেলেও পুলিশের ধারণা তাঁর বয়স আনুমানিক ৫০।

পুলিশ যখন দেহটি উদ্ধার করে, তখন তাতে পচন ধরেছে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে আনন্দপুর থানার পুলিশ। স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারী। তবে এখনও পর্যন্ত ওই ব্যক্তির পরিচয় জানা যায়নি। কী ভাবে ওই ব্যক্তির দেহ এল, তা নিয়ে রহস্য বাড়ছে। আত্মহত্যা না খুন— তা এখনও স্পষ্ট নয়। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ সূত্রে দাবি, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে।

উল্লেখ্য, গত ১৮ অগস্ট রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ আনন্দপুর থানায় একটি ফোন আসে। অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি পুলিশকে জানান, নোনাডাঙা সেতু থেকে এক তরুণ এবং এক তরুণী নোনাডাঙা খালে ঝাঁপ দিয়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। সেখানে পৌঁছোলে এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, স্কুটারে সওয়ার এক তরুণ এবং তরুণী পরস্পরের সঙ্গে ঝগড়া করছিলেন। এর পরে তরুণী স্কুটার থেকে নেমে খালের দিকে ছুটে যান। তখন তরুণও খালের পাড়ে স্কুটার রেখে তরুণীর পিছনে যান। কিছু ক্ষণ পরে ওই প্রত্যক্ষদর্শী খালে কারও ঝাঁপ দেওয়ার শব্দ শুনতে পান। পুলিশ ওই খালে তল্লাশি চালিয়ে প্রথমে ১৯ বছরের রোহিতের দেহ উদ্ধার করে। পরে পাওয়া যায় বছর তেইশের রণিতাকে। দু’জনেরই বাড়ি উত্তর পঞ্চান্নগ্রামে। রণিতার পরিবার জানিয়েছে, পাঁচ মাস আগে স্কুটার কিনেছিলেন রণিতা। রোহিতের কাছে সেই স্কুটার চালানো শিখতেন তিনি। রোহিত তাঁর বন্ধু। সোমবারও সেই স্কুটার চালানো শিখতে গিয়েই নিখোঁজ হয়ে যান রণিতা। তার পরই দু’জনের খাল থেকে দেহ উদ্ধার হয়।

unnatural death Anandapur
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy