Advertisement
E-Paper

সংক্রমিত রাইফেল কারখানার চার কর্মী

লকডাউন শিথিল হওয়ার পরে কম সংখ্যক কর্মী নিয়ে কারখানা চালু হয়েছিল। তবে জুনের প্রথম সপ্তাহ থেকে ১০০ শতাংশ কর্মী নিয়েই চলছে কারখানা।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০২০ ০২:০৫
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

অস্ত্র কারখানাতেও এ বার হানা দিল করোনাভাইরাস। ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরির চার কর্মী করোনা-আক্রান্ত বলে জানান কারখানা কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া এক কর্মী মঙ্গলবার মারা গিয়েছেন। তাঁর বাড়ি নদিয়ার বাদকুল্লায়। জ্বরের সঙ্গে তাঁর অন্যান্য উপসর্গ ছিল। যদিও তাঁর লালারস পরীক্ষার রিপোর্ট এখনও আসেনি। তবে এই খবরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে কারখানার অন্দরে। কারখানার মোট কর্মী সংখ্যা ২৯০০।

লকডাউন শিথিল হওয়ার পরে কম সংখ্যক কর্মী নিয়ে কারখানা চালু হয়েছিল। তবে জুনের প্রথম সপ্তাহ থেকে ১০০ শতাংশ কর্মী নিয়েই চলছে কারখানা। গত সপ্তাহে এক কর্মী সংক্রমিত হন। বর্তমানে তিনি কিছুটা সুস্থ। তার পরেই একে একে চার জনের জ্বর-কাশি শুরু হয়। তাঁদের মধ্যে দু’জনের লালারস পরীক্ষার রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। উত্তর দমদম পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান মলয় ঘোষ বলেন, “ওঁরা দু’জনেই এই পুর এলাকার বাসিন্দা। তাঁদের বাড়িকে আপাতত গণ্ডিবদ্ধ এলাকা বলে ঘোষণা করা হয়েছে।” কারখানা সূত্রের খবর, ভিন্‌ জেলার বাসিন্দা বাকি দু’জনের রিপোর্টও পজ়িটিভ এসেছে।

জ্বর এবং অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে নদিয়ার বাসিন্দা ওই কর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। মঙ্গলবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়। তবে তাঁর পরীক্ষার রিপোর্ট এখনও আসেনি। রাইফেল কারখানা কর্তৃপক্ষও স্বাস্থ্য দফতরকে এখনও বিশদে কিছু জানাননি। উত্তর ২৪ পরগনার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তপন সাহা বলেন, “ইছাপুর রাইফেল কারখানার কর্মীর আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়েছি। কিন্তু বিশদে তথ্য পাইনি।”

লকডাউনের আগে অস্ত্রের বরাত দিয়ে রাখা অনেকেই ভিন্‌ রাজ্য থেকে তা নিতে আসছেন। তাই কী ভাবে কর্মীরা সংক্রমিত হলেন, জানা যাচ্ছে না। কর্তৃপক্ষ জানান, কারখানার সব বিভাগ নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে।

Coronavirus Health COVID-19
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy