মঞ্চে বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র
বিতর্কিত কথা বলে তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ কবীর সুমন এখন সংবাদ শিরোনামে। এই আবহে আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি এবং সিপিএম ভোট চাইতে গেলে জুতোপেটা করার নিদান দিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুরের এক তৃণমূল নেতা। তৃণমূলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায়ের ওই বক্তব্যের সমালোচনা করেছে বিজেপি এবং সিপিএম।
শনিবার খড়্গপুর দু’নম্বর ব্লকের বলরামপুরে তৃণমূলের কর্মী সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিশ্বজিৎ বলে বসেন, ‘‘পঞ্চায়েত নির্বাচনটা আপনাদের দেখতে হবে। যখনই বিজেপি বা সিপিএম আপনাদের বাড়িতে প্রচারে যাবে, আমি আপনাদের অনুরোধ করব, ওরা এলেই প্রদীপ জ্বালিয়ে গ্রহণ (বরণ) করবেন। থালার উপরে একটা জুতো রাখবেন। যখনই ভোটের কথা বলবে, তখনই ঠাঁই ঠাঁই করে জুতো দিয়ে মারবেন। যে *** (ছাপার অযোগ্য শব্দ) এত দিন কোথায় ছিলি? আমাদের বিপদে-আপদে এসেছিস?’’
বিশ্বজিতের এ হেন মন্তব্যের সমালোচনা করেছে বিজেপি। বিজেপি-র ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তন্ময় দাসের কথায়, ‘‘যেমন গাছ, তার তেমন ফল হবে। প্রাক্তন সাংসদ কবীর সুমন যে কী ভাষায় কথা বলেছেন, তা সকলে শুনেছেন। মদন মিত্র নিজেকে প্লে বয় হিসাবে দেখান। এটা ওদের সংস্কৃতি। তবে সব ক্রিয়ারই সমান এবং বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে।’’ সিপিএমের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সম্পাদক তরুণ রায়ের বক্তব্য, ‘‘এ হেন মন্তব্য কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করছি। সভ্য সমাজে এ ধরনের মন্তব্য তৃণমূলের নেতারাই করতে পারেন।’’
বিশ্বজিতের মন্তব্য নিয়ে অস্বস্তিতে জোড়াফুল শিবির। মাদপুরের বিধায়ক অজিত মাইতির কথায়, ‘‘বিশুর (বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায়) এমন মন্তব্য করা ঠিক হয়নি। এটা দল অনুমোদন করে না। তবে বিজেপি-র দিলীপ ঘোষ, সায়ন্তন বসু, অগ্নিমিত্রা পালরা যে ভাষায় কথা বলেন, তাতে মানুষ চোখ, নাক, কান বন্ধ করে ফেলবেন। ওই ছেলেটি আমার কাছে স্বীকার করেছে, ‘আমার এমন কথা বলার কোনও ইচ্ছা ছিল না। আমি জনগণের কথা তুলে ধরেছি মাত্র।’ ও দুঃখ প্রকাশও করেছে। আমরাও ওকে সতর্ক করে দিয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy