দেহ উদ্ধার করে সাগরদিঘি মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। প্রতীকী ছবি।
মৃত মায়ের সঙ্গে ১৫ দিন কাটালেন ছেলে। সাগরদিঘি থানা এলাকার শিবতলার ঘটনা। গত তিন দিন ধরে পচা গন্ধ পাচ্ছিল প্রতিবেশীরা। শনিবার সেই গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়েই তাঁরা বছর ষাটেকের পূর্ণিমা দাসের দেহ আবিষ্কার করেন। দেহ উদ্ধার করে সাগরদিঘি মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে ছেলে সর্বেশ্বর দাসকে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দাস পরিবারের সঙ্গে পাড়ার কারও সঙ্গে সেই অর্থে ভাল মেলামেশা ছিল না। খুব প্রয়োজন ছাড়া তাঁরা বাড়ি থেকেও বেরোতেন না। প্রায় ১৫ দিন ধরেই প্রতিবেশীরা দেখতে পাননি পূর্ণিমাকে। গত ৩ দিন ধরে এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। এর পর শনিবার সকালে প্রতিবেশীরা বুঝতে পারেন, ওই পচা গন্ধ আসলে পূর্ণিমার বাড়ি থেকে আসছে। প্রতিবেশীদের ডাকাডাকিতে ঘর থেকে বেরিয়ে এসে সর্বেশ্বরের নির্লিপ্ত উত্তর দেন, ‘‘কারা একটা মরা ফেলে দিয়ে গিয়েছে!’’ এর পরেই পড়শিরা ভিতরে ঢুকে দেখেন, ঘরের বিছানায় দেহ শোয়ানো। আর মায়ের দেহ আগলে রাখছিলেন সর্বেশ্বর। স্থানীয়দের দাবি, সর্বেশ্বর মানসিক ভারসাম্যহীন।
জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার ভিজি সতীশ বলেন, ‘‘দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy