কাজ নেই। হরিশ্চন্দ্রপুরের বাইশায় ভরসা কচুপাতা। নিজস্ব চিত্র
ঘরবাড়ি থাকলেও সেখানে সারাবছর থাকেন না তাঁরা। জেলা বা বাইরে কোথাও তাঁবু খাটিয়ে থাকেন। ঘুরে ঘুরে মাদারির খেলা দেখানো, মধু সংগ্রহ, পাখি শিকার, শুকনো খড়ি বিক্রিই তাঁদের পেশা। তবে তাঁরা কেউই যাযাবর নন। মুশহর, বেদে ও বিন সম্প্রদায়ের।
লকডাউনের জেরে এখন তাঁদের সব কাজই বন্ধ। জীর্ণ বাড়িতে ফিরেছেন অনেকেই। তাঁরা জানান, প্রশাসনের তরফে এক বার সাহায্য মিলেছিল। কিন্তু সে সব রসদ ফুরিয়েছে। অভিযোগ, তার পরের থেকে কচুপাতা সেদ্ধ খেয়ে দিন কাটছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের বাইশা ও গড়গড়ি এলাকার শতাধিক পরিবারের। প্রশাসন বা পঞ্চায়েতের তরফে সাহায্য মিলছে না বলে অভিযোগ তুলেছে ফরওয়ার্ড ব্লক। এ নিয়ে অকারণে রাজনীতি করা হচ্ছে বলে পাল্টা অভিযোগ তুলেছে শাসকদল।
হরিশ্চন্দ্রপুর-১ ব্লকের বিডিও অনির্বাণ বসু বলেন, ‘‘কিছু বাসিন্দা এলাকায় ফেরার পরে আমি নিজে সেখানে গিয়ে পরিবারপিছু পাঁচ কিলোগ্রাম করে চাল দিয়ে এসেছি। দু’দিন আগে আরও কয়েকটি পরিবার ফিরেছে বলে শুনেছি। তাঁদেরও যাতে খাবার পৌঁছে দেওয়া হয় তা দেখতে পঞ্চায়েতকে বলেছি।’’
এলাকাবাসীর একাংশের নালিশ, প্রশাসনের দেওয়া খাদ্যসামগ্রী কয়েক দিনের মধ্যেই ফুরিয়ে যায়। ফলে পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তাঁরা। কার্যত না খেয়েই তাঁদের দিন কাটছে। সকাল হলেই কচুপাতা জোগাড়ে মাঠঘাটে যেতে হচ্ছে। তা সেদ্ধ করে খেয়েই দিন কাটছে।
জেলা যুব তৃণমূলের সহ সভাপতি তথা স্থানীয় বাসিন্দা বুলবুল খান বলেন, ‘‘ওঁরা এলাকায় ফিরতেই প্রশাসনের তরফে সাহায্য করা হয়েছে। দলের তরফেও সাহায্য করা হয়েছে, হবেও। খবর পেয়ে স্থানীয় রুটি-ব্যাঙ্ক রবিবার ওঁদের খাবার দিয়েছে। যাঁরা অভিযোগ তুলছেন তাঁরা কী করছেন। এ সব না করে বরং কিছু সাহায্য করুক।’’
ফরওয়ার্ড ব্লকের জেলার সাধারণ সম্পাদক শ্রীমন্ত মিত্র বলেন, ‘‘আমরা রাজনীতি করছি না। ওঁরা যাতে সাহায্য পায় সেই কারণেই বলেছি। দলের তহবিল থেকে আমরাও ওঁদের সাহায্য করার বিষয়টি দেখছি।’’
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy