হাতির পিঠে জঙ্গল দর্শন। ছবি: সংগৃহীত।
অতিমারির জেরে দীর্ঘ সময় ধরে বন্ধ ছিল ডুয়ার্সের সব জঙ্গল। লকডাউন এবং করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ বাধা হয়েছিল পর্যটক আগমনের পথে। শেষ পর্যন্ত রাজ্য সরকারের নির্দেশে খুলেছে জাতীয় উদ্যান, অভয়ারণ্য, সংরক্ষিত বনাঞ্চলগুলি। আর গাড়িতে জঙ্গলযাত্রার (কার সাফারি) অনুমোদনের পরেই গরুমারা, চাপড়ামারির মতো বনভূমিতে ঢল নেমেছে পর্যটকদের।
স্থানীয় সূত্রের খবর, এখন গরুমারা জাতীয় উদ্যানে দিনে প্রায় সাতটি জিপ সাফারি হচ্ছে। গড়ে ১১টি করে গাড়ি প্রতিদিন চলছে। পুজোর আগে পর্যটকদের আগমনে আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছেন জঙ্গল লাগোয়া রিসর্ট মালিকে, গাড়ি ব্যবসায়ী-সহ পর্যটন শিল্পের সঙ্গে জড়িতেরা।
রিসর্ট মালিক শেখ জিয়াউল রহমান বলেন, ‘‘জঙ্গল খোলার ফলে এখন পর্যটকেরা আসতে শুরু করেছেন। তথ্য জানার জন্য দূরদূরান্ত থেকে পর্যটকেরা ফোন করছেন।আমরা আশা করছি পুজোর আগেই সব বুকিং হয়ে যাবে। পর্যটকদের একটা ঢল নামবে।’’ তিনি আরো জানান করোনা বিধি পুরোপুরিভাবে মেনেই জঙ্গল দর্শন শুরু হয়েছে ডুয়ার্সে।
পাহাড়, নদী, ঝরনার পাশাপাশি পর্যটকদের কাছে ডুয়ার্সের জঙ্গল এবং বন্যপ্রাণীর আকর্ষণ প্রবল। তা দেখতে বাংলার নানা জেলা, ভিনরাজ্য এমনকি বিদেশি পর্যটকেরাও ভিড় জমান। হাতির পিঠে জঙ্গলদর্শন, জিপ সাফারির আকর্ষণে ভিড় উপচে পড়ে লাটাগুড়ি, চালসা, মাদারিহাটের মতো জায়গায়। গরুমারা জাতীয় উদ্যান ঘুরতে আসা পর্যটক পৌলমী রায় বলেন, ‘‘দীর্ঘ দিন ঘরবন্দি থাকতে থাকতে হাঁফ ধরে গিয়েছিল। প্রকৃতির কাছে এসে যেন মুক্তি পেলাম।’’
জলপাইগুড়ির অনানারি ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন সীমা চৌধুরী বলেন, ‘‘জঙ্গল গুলি খুলে দেওয়া হয়েছে পর্যটকদের ঘোরার জন্য। তবে এখনও বেশ কিছু বন বাংলো সরকারি নির্দেশিকায় বন্ধ রয়েছে। করোনা বিধি সব রকম ভাবে মানার কথা বলা হয়েছে। যে সমস্ত পর্যটকেরা আসছে তাদের জন্য মাক্স ব্যবহার ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। রিসর্ট মালিক এবং পর্যটন ব্যবসায়ীদেরও পাশাপাশি জিপ চালকদেরও করোনাবিধি মেনে চলার বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy