Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
tmc candidate

WB Municipal Election 2022: আমাকে হারাতে কংগ্রেস উঠে পড়ে লেগেছে, কান্নায় ভেঙে পড়ে অভিযোগ কাটোয়ার তৃণমূল প্রার্থীর

মাসুদা ১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর। তাঁর বাবা মণ্ডল আজিজুল জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা জেলা পরিষদের সদস্য।

জেলা তৃণমূল সভাপতির সামনে কান্না তৃণমূল প্রার্থী মাসুদার।

জেলা তৃণমূল সভাপতির সামনে কান্না তৃণমূল প্রার্থী মাসুদার। ছবি: দয়াল সেনগুপ্ত।

প্রণব দেবনাথ
কাটোয়া শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ০৭:২৪
Share: Save:

যেন উলটপুরাণ। রাজ্যের প্রায় সর্বত্র বিরোধীরা যেখানে শাসক দলের বিরুদ্ধে ভোটে ‘সন্ত্রাসের’ অভিযোগে সরব, রবিবার সেখানে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার ১ নম্বর ওয়ার্ডে অন্য ছবি। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বুথে ঢুকতে বাধা দেওয়ার অভিযোগে তুলে জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়লেন তাঁর দলের প্রার্থী মাসুদা খাতুন। অভিযোগ মানেনি কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর টিপ্পনী, ‘‘সবই তো তৃণমূল। তার বিরুদ্ধে কে বলবে? আসলে সাজানো গোছানো কিছু কথা বলতে হয়, তাই বলা।’’

মাসুদা ১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর। তাঁর বাবা মণ্ডল আজিজুল জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা জেলা পরিষদের সদস্য। সমাজ-মাধ্যমে তিনি অভিযোগ করেন, ‘রাতারাতি গজিয়ে ওঠা’ কংগ্রেসিরা তাঁর মেয়েকে হারানোর জন্য বুথ দখল করে ‘ছাপ্পা’ ভোট দিচ্ছেন। খবর পেয়েই জেলা তৃণমূল সভাপতি দলীয় কর্মীর মোটরবাইকে চেপে ১ নম্বর ওয়ার্ডের ওই বুথে গিয়ে মাসুদাকে ভিতরে ঢোকান।

মাসুদার অভিযোগ, ‘‘বেলা পৌনে ১টা নাগাদ কাটোয়া বালিকা বিদ্যালয়ের ৮১ ও ৮২ নম্বর বুথে ঢুকতে গেলে, কংগ্রেসের লোকেরা আমাকে পুলিশের সামনে বাধা দেন। মারধরের হুমকি দেওয়া হয়। আমার এজেন্টদের মারধর করে বার করে দেন ওঁরা। অসহায় অবস্থায়, নিঃসঙ্গ হয়ে বুথের বাইরে ঘণ্টার পরে ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ছিলাম।’’ নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ মানেনি পুলিশ।

ঘটনা হল, কাটোয়ায় তৃণমূল প্রার্থীদের একাংশ ১ নম্বর-সহ কয়েকটি ওয়ার্ডে দলের কর্মীদের একাংশের বিরুদ্ধে প্রচারে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলেছিলেন। অভিযোগ, ওই প্রার্থীরা দলের অন্দরে জেলার এক নেতার ‘বিরুদ্ধ গোষ্ঠীর’ বলে পরিচিত। তাই ওই ‘নিষ্ক্রিয়তা’। তৃণমূলের একটি শিবিরের দাবি, ঘটনার পিছনে দলের সে ‘দ্বন্দ্বের’ ছায়া থাকার সম্ভাবনা পুরোপুরি খারিজ করা যায় না।

যদিও মাসুদা বলেন, ‘‘কংগ্রেসিরা আমাকে হারাতে উঠে-পড়ে লেগেছেন। পুরো ঘটনা জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েছি।’’ অভিযোগ উড়িয়ে কাটোয়া মহকুমা ক‌ংগ্রেসের সভাপতি জগদীশ দত্তের দাবি, ‘‘কংগ্রেস থেকে কেউ ওই প্রার্থীকে বাধা দেননি। ২০১৫ সালের পুর-ভোটে বোমাবাজি করে, বুথের দখল নিয়ে তৃণমূল ওই প্রার্থীকে জিতিয়েছিল। মানুষ তা মেনে নেননি বলেই উনি এখন নিঃসঙ্গ।’’

জেলা তৃণমূল সভাপতি বলেন, ‘‘বুথে কোনও গন্ডগোল দেখতে পাইনি। তবে এর পিছনে কারা রয়েছে, খোঁজ করছি। তথ্য-প্রমাণ হাতে পেলে, নির্বাচন কমিশনকে জানাব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE