পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি। — ফাইল ছবি।
যুদ্ধাপরাধের কারণে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টে ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল দ্য হেগের আন্তর্জাতিক ফৌজদারি আদালত (আইসিসি)। তাঁর বিরুদ্ধে ইউক্রেন যুদ্ধ চলাকালীন সে দেশের শিশুদের বেআইনি ভাবে নির্বাসনে পাঠানোর অভিযোগ রয়েছে। দ্য হেগের আদালত পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলেও তাকে গুরুত্ব দিচ্ছে না মস্কো।
দ্য হেগের আদালতের বিচারপতিরা প্রথমে এই পরোয়ানাকে গোপন রাখার কথা ভেবেছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে তা প্রকাশ্যে আনার সিদ্ধান্ত হয়। বিচারকরা মনে করছেন, এমন পরোয়ানা প্রকাশ্যে আনা হলে তা আগামী দিনে এই ধরনের ঘৃণ্য অপরাধ সংগঠিত হওয়া কমবে।
যদিও এই পরোয়ানার কোনও গুরুত্বই রাশিয়ার কাছে নেই। ক্রেমলিনের দাবি, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ওই আদালতের আওতায় পড়েন না। তাই তাদের জারি করা কোনও পরোয়ানার কোনও অর্থ নেই। রাশিয়ার বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মারিয়া জ়াখারোভা বলেন, ‘‘রাশিয়া এই আদালতের বিচারের আওতায় পড়ে না। তাই এই আদালত কী বলল তা নিয়ে আমাদের কোনও মাথাব্যথা নেই।’’ প্রত্যাশিত ভাবেই আদালতের এই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়েছে ইউক্রেন। সে দেশের সেনা আধিকারিক টুইটে জানিয়েছেন, ‘‘এই সবে শুরু।’’
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন থামার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। রাশিয়া আক্রমণের ধার ক্রমশ বৃদ্ধি করছে। তেমনই মাটি কামড়ে লড়াই করে যাচ্ছে ইউক্রেনের বাহিনীও। পশ্চিমী বিশ্বের দেশগুলি অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে ইউক্রেনের পাশে থাকার চেষ্টা করছে। তেমনই চিন, ইরানের মতো আমেরিকা বিরোধী কিছু দেশ পাশে দাঁড়িয়েছেন পুতিনের। আগামী দিনে এই যুদ্ধ কোন পথে যাবে তা নিয়েই আশঙ্কায় আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের একটি অংশের দাবি, দ্য হেগের আদালতের এই নির্দেশে মিশে রয়েছে আগামী দিনের স্পষ্ট ইঙ্গিত। তাতে পুতিনের উপর চাপ আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy