Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Coronavirus Lockdown

অর্ধের ভাড়া হলেও দিন, আর্জি স্কুলগাড়ি মালিকদের

ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে স্কুলগাড়ির মালিকেরা তাঁদের আবেদন ছড়িয়ে দিয়েছেন।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ জুলাই ২০২০ ০৩:১২
Share: Save:

স্কুল বন্ধ থাকায় গত চার মাসেরও বেশি সময় ধরে স্কুলগাড়ির ভাড়া পাননি ওই সমস্ত গাড়ির মালিকেরা। অভিযোগ, বারংবার আবেদন-নিবেদনেও লাভ হয়নি। এ বার তাই পড়ুয়াদের অভিভাবকদের কাছে এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত বকেয়া ভাড়ার অন্তত ৫০ শতাংশ মিটিয়ে দিতে এসএমএস ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আবেদন জানাল স্কুলগাড়ি মালিকদের সংগঠন।

স্কুলগাড়ি মালিকদের বক্তব্য, অভিভাবকেরা ভাড়া দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন গত এপ্রিল মাস থেকে। মালিকদের অনেকে আবার মার্চ মাসের ভাড়াও পাননি বলে অভিযোগ। ‘হাওড়া জেলা স্টুডেন্ট ক্যারিং পুলকার অ্যাসোসিয়েশন’-এর আওতায় এক হাজারেরও বেশি স্কুলগাড়ি চলে। সংগঠনের সম্পাদক রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, মালিক ও কর্মচারীরা মিলিয়ে প্রায় ১৬০০ মানুষ এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। গাড়িগুলি গত চার মাস ধরে বসে থাকায় টায়ার, ব্যাটারি সব নষ্ট হয়ে গিয়েছে। স্কুল এক দিন না এক দিন খুলবেই। তত দিন পর্যন্ত ওই গাড়িগুলি চলার মতো অবস্থায় রাখতে গেলে টাকার প্রয়োজন। রাজা বলেন, ‘‘অভিভাবকদের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে, এপ্রিল থেকে জুলাই পর্যন্ত অন্তত অর্ধেক ভা‌ড়া মিটিয়ে দেওয়ার জন্য। না-দিলে স্কুলগাড়ির সঙ্গে যুক্ত চালক, হেল্পার, কেয়ারটেকার-সহ কয়েক হাজার মানুষ কার্যত খেতে পাবেন না।’’

এক স্কুলগাড়ি-মালিক এ দিন বললেন, ‘‘মার্চের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত স্কুলগুলি স্বাভাবিক ভাবে চলায় সেই মাসের টাকা অনেকেই মিটিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু এপ্রিল থেকে একটা টাকাও আমরা পাইনি। যাঁরা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে গাড়ি কিনেছেন, তাঁদের অবস্থা সব চেয়ে বেশি খারাপ। কারণ, লকডাউনে সব বন্ধ থাকলেও ব্যাঙ্কের ইএমআই তো আর বন্ধ নেই।’’

ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে স্কুলগাড়ির মালিকেরা তাঁদের আবেদন ছড়িয়ে দিয়েছেন। সমৃদ্ধ রায় নামে বটনিক্যাল গার্ডেন এলাকার এক অভিভাবক জানান, তিনিও ওই আবেদন পেয়েছেন। তাঁর মেয়ে কলকাতার একটি বেসরকারি স্কুলে পড়ে। সমৃদ্ধবাবু বলেন, ‘‘আমি একটি বেসরকারি অফিসে চাকরি করি। আচমকাই আমাদের ৩০ শতাংশ বেতন কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমার স্ত্রীর চাকরি চলে গিয়েছে। এই অবস্থায় কী করে গাড়ির ভাড়া দেব, বুঝতে পারছি না।’’

আর এক অভিভাবক বন্ধ থাকা মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ী। জানালেন, মঙ্গলাহাট বন্ধ সেই মার্চ থেকে। কর্মচারীদের মাইনে দিতেই দিশাহারা অবস্থা তাঁর। এই পরিস্থিতিতে নিজের ‘অসহায়তা’র কথা সংশ্লিষ্ট গাড়িমালিককে জানিয়ে দিয়েছেন বলে জানান তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Lockdown Carpool School Bus
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE