কলকাতায় শুরু হবে করোনা টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল।
কলকাতায় আগামী কাল বুধবার থেকে শুরু হতে চলেছে করোনা টিকা পরীক্ষা (ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল)। ‘কোভ্যাক্সিন’-এর তৃতীয় পর্যায়ের (ফেজ থ্রি) পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা কেন্দ্রীয় গবেষণা সংস্থা নাইসেড (ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কলেরা অ্যান্ড এন্টেরিক ডিজিজেস)-এ। স্বেচ্ছাসেবকদের মধ্যে থাকতে পারেন কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিমও। সম্ভাব্য এই করোনার টিকার পরীক্ষা নিয়ে আশাবাদী এ রাজ্যের চিকিৎসক মহল।
নাইসেড সূত্রে খবর, এক হাজার জনের উপরে টিকার পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলবে। এক একটি দলে ভাগ করে টিকা দেওয়া হবে। আবার কোনও দলকে টিকার বদলে অন্য কিছু (প্লাসিবো) দেওয়া হবে। এ ভাবেই এক বছর ধরে চলবে পর্যবেক্ষণ। যাঁরা এই পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যাবেন, তাঁরা অঙ্গীকারপত্রে দেওয়া ঠিকানা ছেড়ে কোথাও যেতে পারবেন না। নিয়মিত তাঁদের খোঁজ নেবে নাইসেড। এমন কী বাড়িতে গিয়েও পর্যবেক্ষণ করবেন গবেষকরা।
এ ভাবেই স্বেচ্ছাসেবক নেওয়া হবে। তাদের মধ্যে থাকতে পারেন কলকাতা পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিমও। তিনি করোনার টিকা নিতে তৈরি বলে জানিয়েছেন নাইসেড কর্তৃপক্ষকে। তাঁর শরীরিক পরীক্ষায় কো-মর্বিডিটি পাওয়া যায়নি। ফলে টিকা পরীক্ষার প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে গেলে, তাঁর শারীরিক সমস্যা না হওয়ারই কথা।
ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম-এ তরফে বিশিষ্ট চিকিৎসক পুণ্যব্রত গুণ বলেন, “এখন সবে ট্রায়াল চলেছে। আশাও যেমন আছে, তেমন আশঙ্কাও। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় কি না, তা পরীক্ষার পরই বোঝা যাবে। মানুষ তো টিকার দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন।”
নাইসেড-এ টিকা পরীক্ষা হলেও, স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন এবং সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজে ‘ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল’ শুরু হওয়ার বিষয়টি এখনও অনুমোদনের অপেক্ষায়। যদিও আইসিএমআর (ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ)-এর তত্ত্বাবধানে নাইসেড-এ টিকা পরীক্ষার দিকে তাকিয়ে গোটা চিকিৎসক মহল।
আরও পড়ুন: কন্টেনমেন্ট ঘোষণাতেই পেরোচ্ছে দু’সপ্তাহ
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy