Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
Torture

বড় মেয়েকে অত্যাচার, অভিযুক্ত মা

কিন্তু শিক্ষিকার সন্ধান না পেয়ে স্কুলের পাশেই থাকা মিড-ডে মিলের দায়িত্বপ্রাপ্ত দিদিমণির কাছে ওই রাতের জন্য পুলিশ তাদের রেখে আসে।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০২০ ০১:২৯
Share: Save:

তিন বছরের ভাইকে নিয়ে রাস্তায় ঘুরছিল ছ’বছরের দিদি। স্থানীয় বাসিন্দারাই তাদের উদ্ধার করে নিমতা থানার পুলিশের হাতে দিয়েছিলেন। অভিযোগ উঠেছিল, শিশু দু’টিকে তাদের মা মারধর করেন। তাই তারা সেখানে ফিরতে চায় না। এ বার সেই মায়ের বিরুদ্ধে বড় মেয়েকেও মারধর করে বাড়ি থেকে বার করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল।

১৬ এপ্রিল নিমতা থানার পুলিশকে ওই বালিকা জানায়, সে মায়ের কাছে নয়, শিক্ষিকার কাছে যাবে। কিন্তু শিক্ষিকার সন্ধান না পেয়ে স্কুলের পাশেই থাকা মিড-ডে মিলের দায়িত্বপ্রাপ্ত দিদিমণির কাছে ওই রাতের জন্য পুলিশ তাদের রেখে আসে। বর্তমানে ওই মেয়েটি হোমে রয়েছে। পুলিশকে সেই শিক্ষিকা জানিয়েছেন, ওই ছাত্রী তাঁকে জানায়, এর আগে তাদের দিদিকেও মা মারধর করে বার করে দিয়েছেন। দিদি কোথায় সে জানে না। পুলিশের দাবি, বাচ্চাগুলির মা তাদের জানিয়েছেন, সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়া মেয়ে বিহারে বাবার কাছে গিয়েছে। নিমতা থানার পুলিশের এই দাবি মানতে নারাজ শিক্ষিকারা। তাঁদের কথায়, লকডাউন ঘোষণার দু’সপ্তাহ আগেও বোনকে নিতে দিদি স্কুলে গিয়েছিল। স্থানীয় সূত্রের খবর, এলাকার কেউ বাচ্চাগুলির বাবাকে কোনও দিন দেখেননি। সেখানে এমন পরিস্থিতিতে একা বালিকা কী ভাবে বিহারে বাবার কাছে যাবে? প্রশ্ন স্থানীয় বাসিন্দা ও স্কুলশিক্ষিকাদের।

শিক্ষিকাদের অভিযোগ, পুলিশ মহিলাকে জেরা করলেই প্রকৃত ঘটনা সামনে আসবে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার শিশু কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান মানিক চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘মেয়েটিকে হোমে রেখেছে সমিতি। মায়ের বিষয় পুলিশ দেখবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Torture Domestic Violence
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE