প্রতীকী চিত্র।
লকডাউনের মধ্যে চুপিসারে ব্যাগপত্র নিয়ে এক যুবককে বাড়ি থেকে বেরোতে দেখে সন্দেহ হয়েছিল স্থানীয়দের। জিজ্ঞাসাবাদ করতেই তিনি অসংলগ্ন কথা বলতে থাকেন। তাতে স্থানীয়দের সন্দেহ আরও বাড়ে। এর পরে তাঁরা ঘরে ঢুকে দেখেন, মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন ওই যুবকের বৌদি ও বড় ভাইঝি।
এর পরেই মৃতা মহিলার স্বামী, শ্বশুর, ভাশুর ও দেওরকে বেধড়ক মারধর করে পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয়েরা। পুলিশ তাঁদের আটক করেছে। চার জনকেই চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে সোদপুরে। পুলিশ জানায়, মৃত মহিলার নাম সঙ্গীতা হেলা (৪০)। তাঁর মেয়ের নাম নেহা হেলা (১৭)।
স্থানীয় সূত্রের খবর, সোদপুরের শতদল পল্লির বাসিন্দা অনিল হেলা এলাকায় আইনজীবী বলে পরিচিত। সঙ্গীতার সঙ্গে প্রতিদিনই অশান্তি হত অনিলের। গত কয়েক মাস ধরে অশান্তি চরমে ওঠে। স্থানীয় বাসিন্দা নন্দিতা দে-র অভিযোগ, ‘‘সকালে সঙ্গীতাকে চুলের মুঠি ধরে দোতলায় নিয়ে যাচ্ছিলেন অনিলেরা। পাড়ার কয়েক জন প্রতিবাদ করতেই ওঁরা ক্ষমা চেয়ে নেন।’’ দুপুরে অনিলের মা ও বোনকে ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে যেতে দেখেন স্থানীয়েরা। কিছু পরেই অনিলের এক ভাইকেও বেরোতে দেখে সন্দেহ হওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন প্রতিবেশীরা। তখন অনিল, তাঁর আর এক ভাই এবং বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ করায় তাঁরা কখনও বলেন, ওই দু’জন কেরোসিন খেয়ে মারা গিয়েছেন। কখনও আবার জানান, গ্যাস লিক করে মৃত্যু হয়েছে। এর পরেই অনিলের ছোট মেয়ে অভিযোগ করে, তার বাবা, কাকা, দাদু মিলে মাকে মেরেছেন। বাধা দিতে গেলে নেহাকেও মারা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, মা ও মেয়ের শ্বাসরোধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে।
আরও পড়ুন: সোমবার সকাল থেকে ৪ দিন বন্ধ থাকবে করুণাময়ী সেতু
কলকাতার একটি শিশু হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত দুই প্রসূতি
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy