প্রতীকী ছবি।
ইংরেজবাজার শহরের কয়েকটি পুজো মণ্ডপ সরকারি নির্দেশিকা মেনে তৈরি করা হয়নি বলে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন করোনা নিয়ন্ত্রণে উত্তরবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য আধিকারিক সুশান্ত রায়। মঙ্গলবার দুপুরে মালদহের সানাউল্লাহ মঞ্চে শহরের পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকে সে কথা জানান তিনি। বৈঠকে মালদহের জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র একই অভিযোগ করেছেন।
তাঁদের বক্তব্য, পুজো মণ্ডপ এ বারে খোলামেলা করতে হবে। স্বাস্থ্য দফতর ও জেলা প্রশাসনের তরফে ডাকা এই বৈঠকে এ দিন পুজো কমিটিগুলিকে করোনা মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে বেশ কিছু পরামর্শ ও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশের তরফেও পুজো কমিটিগুলিকে এ দিন স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে। পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, মাস্ক ছাড়া কোনও দর্শনার্থীকে মণ্ডপে ঢোকানো যাবে না। কাউকে যদি মাস্ক ছাড়া মণ্ডপে দেখা যায়, তার দায় সেই পুজো কমিটিরই।
করোনা আবহে এ বারের দুর্গাপুজোয় স্বাস্থ্যবিধি কার্যকর করা নিয়ে মঙ্গলবার ওই বৈঠক হয়। বৈঠকে ছিলেন পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া, জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভূষণ চক্রবর্তী, মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম মুখোপাধ্যায়, সহকারী অধ্যক্ষ অমিত দাঁ।
সুশান্ত বলেন, "এ দিন শহরে আসার পথে কয়েকটি পুজোমণ্ডপ দেখলাম। কিন্তু সেগুলি সরকারি নির্দেশিকা মেনে তৈরি করা হয়নি।" তিনি আরও বলেন, "অষ্টমীর অঞ্জলি নিয়ে খুব ভয় পাচ্ছি।সে কারণে পুজো কমিটিগুলিকে বলা হচ্ছে তারা যেন অঞ্জলি দেওয়ার ক্ষেত্রে বাড়ি বাড়ি কুপন দেওয়ার ব্যবস্থা করে। সেখানে সময় লেখা থাকবে। একবারে ১০ থেকে ১৫ জনকে অঞ্জলি দেওয়ার জন্য কুপন দিয়ে ডাকা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে অঞ্জলি দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।"
তাঁর বক্তব্য, মালদহে করোনা সংক্রমণ এখন বাড়ছে। অনেকে লালারস পরীক্ষা করাচ্ছেন না, অথচ তাঁরা 'সুপার স্প্রেডার' হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। পুজোয় তাঁরা ভিড়ে ঘুরে বেড়ালে পরিস্থিতি জটিল হবে। তাই পুজো কমিটিগুলিকে ভিড় নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব নিতে হবে। পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক রাখতে হবে। মণ্ডপ থেকে এবারে প্রসাদ বিলি করা যাবে না বলেও জানিয়ে দেন তিনি।
বৈঠকে পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘পুলিশ যদি কোনও মণ্ডপে গিয়ে মাস্ক ছাড়া কাউকে পায় তার দায় কিন্তু সেই পুজো কমিটির উপরেই বর্তাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy