এ ভাবেই মারধর করা হয় স্মৃতিকণা দাসকে। নিজস্ব চিত্র
মহিলাকে দড়িতে বেঁধে মারধরের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়াতেই অভিযুক্ত উপপ্রধানের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিল তৃণমূল। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার দলের জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ ওই ঘটনায় অভিযুক্ত উপপ্রধান অমল সরকারকে দল থেকে বহিষ্কার করেন। অর্পিতা বলেন, ‘‘এমন ঘটনা দল অনুমোদন করে না। তাই ওঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’’
অমলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, জমি নিয়ে বিবাদের জেরে তিনি স্থানীয় এক মহিলাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে মারধর করেছেন। সেই ঘটনার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই দলীয় নেতৃত্ব অমলের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ঘটনার সূত্রপাত গত শুক্রবার দুপুরে। নন্দনপুরের বাসিন্দা স্কুলশিক্ষিকা স্মৃতিকণা দাসের জমি ‘দখল’ করে রাস্তা তৈরির অভিযোগ ওঠে নন্দনপুরের উপপ্রধান তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা অমলের বিরুদ্ধে। বাধা দিতে গেলে অমল তাঁর সঙ্গীদের নিয়ে ওই মহিলার উপরে চড়াও হন বলে অভিযোগ।
মারধরের ভিডিয়ো ও ওই মহিলার বয়ান অনুযায়ী, অমল ও আরও জনাতিনেক তৃণমূল নেতা স্থানীয় বাসিন্দাদের সামনে তাঁর পা দড়ি দিয়ে বেঁধে রাস্তা দিয়ে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যান। তার পরে রাস্তার পাশের একটি খুঁটির সঙ্গে বেঁধে ওই মহিলাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। সঙ্গে চলে গালিগালাজ। বাঁচাতে গেলে তাঁর দিদিকেও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় গুরুতর জখম ওই মহিলাকে স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, তাঁর মাথায় চোট লেগেছে। আহত হয়েছেন তাঁর দিদিও।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েই গঙ্গারামপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন স্মৃতিকণা। তাঁর অভিযোগ, ‘‘আমাকে বাঁচাতে এলে দিদিকেও ওরা মারধর করে। খুনের হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি গালিগালাজও করেছে। বাড়িতে আমি আর মা থাকি। খুবই আতঙ্কে রয়েছি।’’
দিনেদুপুরে প্রকাশ্য রাস্তায় এক মহিলাকে এ ভাবে মারধরের
ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই সমালোচনার ঝড় ওঠে। তার পরেই অভিযুক্ত উপপ্রধানকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল।
এ নিয়ে বিজেপি সাংসদ সুকন্ত মজুমদার বলেন, ‘‘ভিডিয়োয় দেখলাম কী ভাবে ওই মহিলাকে মারা হয়েছে। এটা বর্বরোচিত কাজ। নিন্দার ভাষা নেই। অবিলম্বে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করুক পুলিশ।’’
গঙ্গারামপুর থানার আইসি পুর্ণেন্দু কুণ্ডু বলেন, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি।’’
অভিযুক্ত উপপ্রধানকে একাধিক বার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy