গ্যাস-অম্বলে কাবু বাঙালি। এর জন্য মুঠো মুঠো অ্যান্টাসিড তার নিত্যসঙ্গী। অথচ নিয়ম করে কিছু যোগাসন অভ্যাস করলে হজমের সমস্যার হাত থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। অ্যান্টাসিডের থেকে বহু গুণে কার্যকরী ও হজমে সহায়ক পবনমুক্তাসন। এই আসনটি মূলত শুয়ে অভ্যাস করতে হয়। কিন্তু শুয়ে পা মুড়ে আসনটি করতে অনেকেই সমস্যায় পড়েন। বয়স্কদের ক্ষেত্রে তা করা সম্ভব হয় না অনেক সময়েই। তাই চেয়ারে বসেই আসনটি করা যাবে। তার জন্য নির্দিষ্ট পদ্ধতি জেনে নিতে হবে।
যোগাসন প্রশিক্ষকেরা এই আসনকে বলেন, ‘সিটেড পবনমুক্তাসন’ বা চেয়ার-যোগ। এর কার্যকারিতা অনেক।
কী ভাবে করবেন চেয়ার-যোগ?
১) মাটিতে দুই পা টানটান করে রেখে চেয়ারে সোজা হয়ে বসুন। দুই হাত থাকবে কোলের উপরে। ঘাড়, পিঠ ও মাথা সোজা থাকবে।
২) এ বারে ডান পা হাঁটু ভাঁজ করে ঊরু বুকের কাছে আনার চেষ্টা করুন। দুই হাত দিয়ে ভাঁজ করা পা হাঁটুর ঠিক নীচ থেকে চেপে যতটা সম্ভব বুকে ঠেকানোর চেষ্টা করুন।
৩) শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে মাথা হাঁটুর কাছে আনতে হবে। এই অবস্থানে কয়েক সেকেন্ড থাকুন।
৪) শ্বাস নিতে নিতে দুই হাত ছেড়ে দিয়ে ঘাড় পিঠ সোজা করে ডান হাঁটু নীচে নামান।
৫) এ বারে একই পদ্ধতিতে বাম হাঁটু বুকের কাছে এনে দুই হাত দিয়ে জড়িয়ে ধরে মাথা হাঁটুর কাছে আনুন।
৬) প্রতিটি পায়ে ২০ সেকেন্ড করে পাঁচ সেটে আসনটি অভ্যাস করতে হবে।
আরও পড়ুন:
উপকারিতা
রোজ চেয়ার-যোগ অভ্যাস করলে হজমশক্তি ভাল হবে।
গ্যাস-অম্বল, অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা কমে যাবে।
ঘাড় পিঠ-সহ মেরুদণ্ড সংলগ্ন পেশি সক্রিয় হবে, পেশির জোর বাড়বে।
পেটের মেদ কমবে, অতিরিক্ত ওজন ঝরবে।
পিঠ-কোমরের ব্যথা থাকলে তা কমে যাবে।
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে আসবে।
কারা করবেন না?
হাঁটুতে অস্ত্রোপচার হলে এই আসন করবেন না।
হার্নিয়ার সমস্যা থাকলে আসনটি করা যাবে না।