৬ অক্টোবর, সোমবার কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো। সকল বাঙালি হিন্দুর কাছে এই তিথির গুরুত্ব বিশেষ। প্রায় প্রত্যেক বাঙালি হিন্দু ঘরেই এই দিন লক্ষ্মীপুজো হয়ে থাকে। যে ঘরে লক্ষ্মীপুজো করা হয়, সেই ঘরে কখনও অন্নবস্ত্রের অভাব হয় না বলে বিশ্বাস করা হয়। মা লক্ষ্মী খুবই চঞ্চলা। তবে, যে ঘরে এক বার তাঁর কৃপা বর্ষিত হয়, সেই ঘরে সুখ-সমৃদ্ধি ভরে থাকে। তাই লক্ষ্মীদেবীর কৃপা সারা বছর ধরে পেতে পালন করুন বিশেষ কিছু টোটকা। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, এই টোটকাগুলো করার মাধ্যমে মাকে সন্তুষ্ট করা যায় এবং তাঁর কৃপা সারা বছর লাভ করা যায়।
আরও পড়ুন:
টোটকা:
১) লক্ষ্মীপুজোর সময় একটা পাত্রের কানা পর্যন্ত ধান ভরে নিয়ে তাতে এক টাকার একটা কয়েন, একটা সুপারি, পাঁচটা কড়ি, একটা হরিতকী এবং পান দিন। এ বার এই পাত্রটি মায়ের পায়ের সামনে রেখে দিন।
২) লক্ষ্মীপুজোয় লক্ষ্মীদেবীকে নারকেলের জল এবং চিঁড়ে অবশ্যই ভোগ হিসাবে নিবেদন করুন। উপবাস রেখেছেন যাঁরা, পুজো শেষে সেই প্রসাদ তাঁরা খেয়ে নিন। এই খাবার খেয়েই উপবাস ভাঙতে হবে।
৩) যে সকল বাড়িতে নতুন মূর্তি কিনে এনে পুজো দেওয়া হয়, অর্থাৎ প্রতি বছর এই দিনে নতুন লক্ষ্মীপ্রতিমা আনা হয়, তাঁরা প্রতিমা কিনতে যাওয়ার সময় একটা পান সঙ্গে করে নিয়ে যাবেন। ঠাকুরের মুখ পানপাতা দিয়ে ঢেকে ঘরের ভিতর নিয়ে আসবেন।
আরও পড়ুন:
৪) ঘরে নতুন ঠাকুর প্রবেশ করানোর সময় উলুধ্বনি দেওয়া আবশ্যিক।
৫) লক্ষ্মীদেবীর ঘটস্থাপনের সময় ঘটের ভিতরে সামান্য সিদ্ধি এবং একগুচ্ছ দূর্বা দিন।
৬) মায়ের পুজোর সময় মায়ের আসনে একটা গোমতী চক্র রাখুন। তার পর পুজো শেষে সেই গোমতী চক্রটি সেই আসন থেকে তুলে টাকা রাখার জায়গায় রেখে দিন।
আরও পড়ুন:
৭) পুজোর সময় লক্ষ্মীদেবীকে লাল বস্ত্র অর্পণ করুন এবং নিজেও লাল বস্ত্র পরে পুজো করুন।
৮) এই দিন মাকে ক্ষীর বা পায়েসের ভোগ অবশ্যই দিন।
৯) পুজো শেষে মায়ের পাঁচালি পাঠ করতে হবে।
১০) এই দিন নারায়ণের পুজো করাও খুব শুভ বলে মানা হয়।