কোনও কারণ ছাড়াই বহু মানুষের মধ্যে পা নাড়ানোর অভ্যাস রয়েছে। অনেকেই রয়েছেন, যাঁরা বসে বসে বিনা কারণে পা দোলাতে থাকেন। এটা এক প্রকার বদঅভ্যাসই বটে। যে সকল মানুষ এই খারাপ অভ্যাসের শিকার, তাঁরা কাজ করতে করতেও পা নাড়ান, খেতে বসেও পা নাড়ান, শুয়েও পা নাড়ান। এঁরা আর পাঁচ জন মানুষের মতো পা স্থির রেখে বসে থাকতে প্রায় পারেন না বললেই চলে। কিন্তু এই ছোট্ট এক অভ্যাসের কারণে তাঁরা যে নিজেদেরই মারাত্মক ক্ষতি করে ফেলছেন সেটা কি জানেন? শাস্ত্রমতে, অযথা পা দোলানোর ফলে ভাগ্যের উপর কুপ্রভাব পড়ে। নানা দিক থেকে ক্ষতি সাধন হয়। কোনও কারণ ছাড়া শুয়ে বা বসে পা নাড়িয়ে আমরা নিজেরাই নিজেদের দুর্ভাগ্যকে ডেকে আনি।
আরও পড়ুন:
কোন কোন ক্ষেত্রে ক্ষতি হয়?
- অযথা পা দোলালে কোষ্ঠীতে চন্দ্রের স্থান দুর্বল হয়। পরিবারের সদস্যদের শারীরিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে। মানসিক শান্তি বিঘ্নিত হয়। মন সর্বদা বিষাদগ্রস্ত থাকে। অর্থভাগ্যেও কুপ্রভাব পড়ে।
- শাস্ত্রমতে, শুয়ে বা বসে পা নাড়ানোর ফলে রেগে যান মা লক্ষ্মী। অর্থ সংক্রান্ত যে কোনও কাজে বাধা পড়ে। ফলত অর্থভাগ্য তলিয়ে যায়। সংসারে অভাব দিন দিন বৃদ্ধি পায়।
আরও পড়ুন:
- পুজো দিতে বসেও পা দোলান? এই অভ্যাস যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ত্যাগ করুন। এতে ভগবান আপনার পুজো গ্রহণ করেন না। পরিবারের ইষ্টদেবতা ক্রুদ্ধ হন। সংসারের উপর নেমে আসে ঘোর অমঙ্গল। মানসিক দুর্বলতা বৃদ্ধি পায়। বাড়ির লোকেদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতাও কমে।
- সন্ধ্যাবেলা বসে বসে পা নাড়ালে বাড়িতে নেগেটিভ শক্তির পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। সেই খারাপ ফল ভোগ করতে হয় বাড়ির প্রতিটি সদস্যকে। যে কোনও ক্ষেত্রে বাধার সম্মুখীন হতে হয় তাঁদের।
আরও পড়ুন:
- রাতে শোওয়ার আগে পা নাড়ালে পেশাক্ষেত্রে জটিলতার মুখে পড়তে হয়। ব্যক্তিগত জীবনেও নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেকে আবার খাবার টেবিলে বসে পা নাড়ান। এই অভ্যাসও অত্যন্ত খারাপ। এর অশুভ প্রভাবে জীবন ছন্নছাড়া হয়ে যায়। অভাব পিছু ছাড়তে চায় না। লোকসানের মুখে পড়তে হতে পারে হঠাৎই।