১৬ অগস্ট ২০২৫, শনিবার জন্মাষ্টমী। দ্বাপর যুগে এই পবিত্র দিনে বিষ্ণুর অষ্টম অবতার শ্রীকৃষ্ণ ধরাধামে এসেছিলেন। এই দিনটিকে তাই শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি হিসাবে আড়ম্বরের সঙ্গে পালন করা হয়। অনেকেই নিজেদের বাড়িতে এই দিন লাড্ডুগোপালের পুজো করেন। অনেকে আবার বাড়িতে গোপালের মূর্তি এনে রেখে দেন এই শুভ দিনে প্রাণপ্রতিষ্ঠা করবেন বলে। তবে গোপালের প্রাণপ্রতিষ্ঠা করার বিভিন্ন নিয়ম রয়েছে। বাড়িতে পুরোহিত ডেকেই যে গোপালের প্রাণপ্রতিষ্ঠা করাতে হবে এমন কোনও মানে নেই। নিজেরাই বিশেষ কিছু নিয়ম মেনে, পুরোহিত ছাড়াই এই কাজ করে ফেলা যায়। সেগুলি সঠিক নিয়ম মেনে পালন করে গোপালকে প্রতিষ্ঠা করতে হয়। না হলে প্রভু রুষ্ট হন। জেনে নিন নিয়মগুলি কী কী।
আরও পড়ুন:
গোপালের প্রাণপ্রতিষ্ঠার নিয়মগুলি কী কী?
- গোপালের মূর্তি স্থাপন করার আগে ঠাকুরঘর পরিষ্কার করা আবশ্যিক। খুব ভাল করে পরিষ্কার করতে হবে যাতে কোনও ময়লা বা ঝুল না থাকে। পরিষ্কার করার পর গোপালকে যে স্থানে বসাবেন, সেখানে গঙ্গাজল ছিটিয়ে নিতে হবে।
- গোপালকে ঠাকুরঘরের উত্তর-পূর্ব দিকে প্রতিষ্ঠা করতে পারলে খুব ভাল হয়।
- জন্মাষ্টমীর আগে থেকেই গোপালের প্রাণপ্রতিষ্ঠার বিধি শুরু করে দিতে হবে। দু’-তিন দিন আগে থেকে শুরু করলেই হবে।
আরও পড়ুন:
- প্রথম দিন একটি পরিষ্কার পাত্রে গোবিন্দভোগ চাল নিয়ে তার মধ্যে গোপালকে বসিয়ে রাখতে হবে। দ্বিতীয় দিন চাল সরিয়ে সেই পাত্রে হরেক রকম সব্জি নিয়ে তাতে বসিয়ে রাখতে হবে। তৃতীয় দিন সেই পাত্রে ফুল বা ফল নিয়ে বসিয়ে রাখতে পারেন। তিন দিন পালন করা সম্ভব না হলে, দু’দিন এই প্রথা মানলেও চলবে। এই সময় গোপালের চোখটি ছোট্ট একটা লাল কাপড়ের টুকরো দিয়ে বেঁধে রাখতে হবে।
- সেই পাত্র থেকে গোপালকে তুলে তাঁর চোখে বাঁধা কাপড়টি খুলে ফেলতে হবে। তার পর মূর্তিকে আয়না দেখাতে হবে।
আরও পড়ুন:
- এর পর জন্মাষ্টমীর দিন গোপালের মূর্তিকে সিংহাসনে, তাঁর যথাস্থানে বসানোর আগে স্নান করাতে হবে। পঞ্চামৃত (দুধ, দই, ঘি, মধু ও চিনি) দিয়ে স্নান করাতে হবে। তাতে ফুল ও তুলসীপাতাও দিতে হবে। একটি নতুন পাত্রে গোপালকে বসিয়ে তাঁর মাথায় ‘ওম ভগবতে বাসুদেবায় নমঃ।’ এই মন্ত্র পাঠ করতে করতে পঞ্চামৃতটি ঢালতে হবে। পঞ্চামৃত দিয়ে অভিষেক করানোর পর গোপালকে গঙ্গাজল দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
- সবশেষে গোপালকে নতুন জামা পরিয়ে, মনের মতো করে সাজিয়ে যথাস্থানে বসিয়ে দিতে হবে। সাদা চন্দন ও ফুল দিয়ে সাজানো আবশ্যিক।
আরও পড়ুন:
- পাঁচ রকমের ফল, মিষ্টি, জল প্রভৃতি ভোগ দিতে হবে। এ ছাড়া আপনি চাইলে খিচুড়ি, তরকারি, পায়েস প্রভৃতি ভোগ দিতে পারেন।