করোনা পজিটিভ ট্রাম্পকে কটাক্ষ চিনের। —ফাইল চিত্র
বিশ্ব জুড়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে চিনকে বহু বার আক্রমণ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনকি, শাস্তির হুমকি পর্যন্ত দিয়েছেন। তার জেরে দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কেও উত্তপ্ত আবহ। তার মধ্যেই কোভিড আকান্ত হওয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্টকে তীব্র কটাক্ষে বিঁধল বেজিং। ভাইরাসকে ‘গুরুত্ব না দেওয়ার ফল ভোগ করছেন ট্রাম্প’— লিখেছেন চিনের সরকারি সংবাদ মাধ্যম ‘গ্লোবাল টাইমস’-এর সম্পাদক হু জিন।
ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তাঁর স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্পের করোনা ভাইরাস রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে শুক্রবার। মেরিল্যান্ডের ওয়াল্টার রিড সেনা হাসপাতালে চলছে তাঁর চিকিৎসা। যদিও চিকিৎসা চলাকালীনই হাসপাতাল থেকে বাইরে বেরনোয় সমালোচনার মুখে পড়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। অন্য দিকে হোয়াইট হাউস সূত্রে খবর, খুব শীঘ্রই ট্রাম্পকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হতে পারে। হোয়াইট হাউসের চিকিৎসক সন কনলি রবিবার জানিয়েছিলেন, চিকিৎসায় ভালই সাড়া দিচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ট্রাম্পের এই সংক্রমণ নিয়েই কটাক্ষ করে গ্লোবাল টাইমসের সম্পাদক হু জিন বলেছেন, ‘‘কোভিড-১৯ নিয়ে জুয়া খেলার মূল্য চোকাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।’’ তিনি আরও বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট এবং ফার্স্ট লেডির সংক্রমণই বুঝিয়ে দিচ্ছে এই ভাইরাস কতটা মারাত্মক। ‘‘ট্রাম্প ও আমেরিকার উপর এর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। প্রভাব পড়বে ট্রাম্পের পুনর্নির্বাচনেও (মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে)’’, বলেছেন হু জিন।
চিনের উহান শহর থেকেই যে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছিল, এই তত্ত্ব বিজ্ঞানী-গবেষকদের কাছে গ্রহণযোগ্য হওয়ার পর থেকেই ভাইরাসের সংক্রমণের জন্য বেজিংকে বহু বার কাঠগড়ায় তুলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। চিন সময় থাকতে বিশ্ববাসীকে সতর্ক না করে তথ্য গোপন করা, মৃত্যু ও আক্রান্তের সঠিক পরিসংখ্যান প্রকাশ না করার মতো ভূরি ভূরি অভিযোগ তুলেছেন ট্রাম্প। এমনকি উহানের ল্যাবে কৃত্রিম ভাবে ভাইরাস তৈরির অভিযোগেও সরব হয়েছেন এবং তেমনটা প্রমাণিত হলে শাস্তির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। এ বার ট্রাম্প নিজে আক্রান্ত হতেই বেজিং তার বদলা নিল বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন: কোভিড চিকিৎসার মাঝেই হাসপাতাল ছাড়ায় সমালোচনার মুখে ট্রাম্প
আরও পড়ুন: কলকাতায় থাকলেও ট্রাম্পকে রেমডেসিভিরই দিতেন, বলছেন চিকিৎসকরা
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় সারা বিশ্বে এই মুহূর্তে শীর্ষে আমেরিকা। নানা মহল থেকে অভিযোগ উঠেছে, সময়মতো লকডাউন না করা এবং লকডাউন করার পরেও অল্প কিছু দিন পরেই তা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সংক্রমণ এমন ভয়াবহ আকার নিয়েছে। হু জিন সেই বিষয়টিই ফের এক বার সামনে নিয়ে এলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy