ছবি: এএফপি।
সব দেশ ছাড়িয়ে এখনও সংক্রমণ-গতির শীর্ষে আমেরিকা। গত কাল এক দিনে সংক্রমিত হয়েছেন ৩৯,৯৭২ জন। মৃত্যু হয়েছে ২৪২৫ জনের।
সামনের নভেম্বরেই প্রেসিডেন্ট-নির্বাচন। এর মধ্যে করোনা-পরিস্থিতি সামলাতে গিয়ে বেসামাল প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দেশ জুড়ে ক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে। তবু তিনি অদম্য। এখনও পর্যন্ত প্রকাশ্যে মাস্ক পরতে দেখা যায়নি তাঁকে। বারবারই প্রশ্ন উঠছে সরকারের ভূমিকা নিয়ে। আজ মাইক্রোসফ্টের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস বলেন, ‘‘যা ভেবেছিলাম, তার থেকেও খারাপ অবস্থা আমেরিকার, বিশ্বেরও।’’ একটি মার্কিন সংবাদ সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘আমেরিকায় এখনও মানুষ মরে যাচ্ছে। এই অতিমারির বিরুদ্ধে লড়ার জন্য যা যা করা উচিত ছিল সরকারের, তার ধারেকাছেও যাচ্ছে না তারা। আরও দ্রুত ও বেশি পরীক্ষা করাতে হবে। এ ভাবে বেশ কিছু দেশ দারুণ ফলও পেয়েছে। নির্দিষ্ট করে আমেরিকায়, না-আছে নেতৃত্ব, না-আছে কাজের সমন্বয়।’’
টেক্সাসের অবস্থা সব চেয়ে খারাপ। গত সোমবার হোয়াইট হাউসের অর্থনীতি উপদেষ্টা ল্যারি কুডলো বলেছিলেন, ‘হটস্পট’ শব্দটির সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে বাঁচতে শিখতে হবে মার্কিনদের। আজ জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি-র মেডিসিনের অধ্যাপক জোনাথন রেনার বললেন, ‘‘যে ভাবে সংক্রমিতের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে তো মনে হচ্ছে না সরকারের কোনও চিন্তাভাবনাই বাস্তবে কার্যকর হচ্ছে।’’ শুধু টেক্সাস নয়, অ্যারিজ়োনা ও ফ্লরিডার অবস্থাও খারাপ। তাঁর কথায়, ‘‘টেক্সাসের একাংশ অবিলম্বে শাটডাউন করা উচিত। সেটাই দায়িত্বপূর্ণ হবে। এটুকু আশা রাখি, যে সব প্রদেশে কোভিড নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলেছে গিয়েছে, সেখানকার নেতৃত্বের শাটডাউন করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো রাজনৈতিক সাহস আছে।’’
এপিডিমিয়োলজিস্ট ল্যারি ব্রিলিয়ান্ট বলেন, ‘‘সরকার যদি লোকজনকে মাস্ক ছাড়া রাস্তায় বেরোনোর অনুমতি দেয়, পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখার বিধি মনে করিয়ে না-দেয়, তা হলে সংক্রমণ যে এ ভাবে বাড়বে, তা অনুমেয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy