প্রতীকী চিত্র
পুলিশে খবর যায় ব্যস্ততম রেল স্টেশনের সুশির দোকানে ঢুকেছে দুই নীল পেঙ্গুইন। পুলিশ ও বন্যপ্রাণী বিভাগের আধিকারিকরা সেখানে পৌঁছে তাদের তুলে নিয়ে যায়। তবে সে কাজটাও মোটেই সহজ ছিল না। যতই হোক নীল পেঙ্গুইনদের পরীও যে বলে। তাই তাদের ওপর তো আর বল প্রয়োগ করা যায় না। লোভ দেখিয়ে বার করতে হয় দোকান থেকে। নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটনের ঘটনা।
আসলে কিছুদিন পরেই পেঙ্গুইনদের ডিম পাড়ার সময় শুরু হবে। তার আগে তারা নিরাপদ কোনও জায়গায় বাসা তৈরি করে তারা। প্রায়ই লোকজন বন্যপ্রাণী বিভাগে ফোন করে জানান, তাঁদের বাড়িতে পেঙ্গুইন বাসা বাঁধছে। সেক্ষেত্রে তাদের তুলে নিয়ে গিয়ে আবার তাদের আসল বাসস্থানে ছেড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তা বলে ওয়েলিংটনের মতো ব্যস্ততম রেল স্টেশনের সুশির দোকানে ঢুকে বাসা বাঁধার চেষ্টা!
পুলিশ জানিয়েছে, গত সপ্তাহের শেষের দিকে একটি নীল পেঙ্গুইন সিটি সেন্টারে ঢুকে পড়েছিল। সেটিকে তুলে নিয়ে গিয়ে যথাস্থানে ছেড়ে আসা হয়েছে। কিন্তু সেটি আবার ফিরে আসে মঙ্গলবার। এবার সঙ্গে এক সঙ্গী। এই ভবঘুরে জুটি এবার ওয়েলিংটন রেল স্টেশনের মতো ব্যস্ত জায়গায়, একটি সুশির দোকানে ঢুকে পড়ে বাসা বাঁধার জন্য। প্রথমে তাদের কিছুতেই বার করা যাচ্ছিল না। পরে স্যামন মাছের লোভ দেখিয়ে বের করে আনা হয়। তারপর তাদের ধরে নিয়ে গিয়ে জলে ছেড়ে দিয়ে আসেন পুলিশ আধিকারিকরা।
আরও পড়ুন :আয়ুর্বেদিক ডিম বা মুরগির কথা শুনেছেন?
আরও পড়ুন : বাবা-মায়ের ঝগড়ায় অতিষ্ঠ, নিষ্কৃতিমৃত্যু চেয়ে রাষ্ট্রপতিকে চিঠি কিশোরের
সুশি দোকানটির ফাঁক-ফোকর বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে যাতে আবার না কোনও পেঙ্গুইন ঢুকে পড়ে। পেঙ্গুইন দুটি হয় ব্যস্ত হাইওয়ে পেরিয়ে অথবা মিষ্টি জলের পাইপ লাইন দিয়ে এখানে চলে এসেছে বলে জানিয়েছেন বন্যপ্রাণী বিভাগের এক আধিকারিক। নীল পেঙ্গুইন, পেঙ্গুইনদের মধ্যে সব থেকে ছোট আকারের হয়। উচ্চতায় ২৫ সেন্টিমিটার আর ওজন হয় ১ কিলোগ্রামের মতো। তাই পাইপ লাইনের ভেতর দিয়ে চেলে আসা এদের পক্ষে খুব একটা অসুবিধার নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy