Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Viral video

‘মহিলাদের স্তন কেটে বিক্রি করতাম’ সংবাদমাধ্যমে বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি কেনীয় অপরাধীর

তাদের গোপন জায়গায় নিয়ে গিয়ে, ফ্লেক্সর নামে এক রাসায়নিক দিয়ে অচেতন করে দেওয়া হত। এই ফ্লেক্সরের বেশি প্রয়োগে অজ্ঞান হয়ে যেতেন ওই মহিলা যৌনকর্মীরা। তারপর তাঁদের স্তন কেটে নেওয়া হত

সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি কিমানিয়ানো। ছবি : ইউটিউব থেকে নেওয়া।

সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি কিমানিয়ানো। ছবি : ইউটিউব থেকে নেওয়া।

সংবাদ সংস্থা
নাইরোবি, কেনিয়া শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০১৯ ১৬:৫৯
Share: Save:

নাইরোবির এক কুখ্যাত অপরাধীর স্বীকারোক্তি শুনে স্তম্ভিত গোটা কেনিয়া। সম্প্রতি কেটিএন নিউজ কেনিয়া চ্যানেলে একটি সাক্ষাৎকার দেয় বোনিফেস কিমানিয়ানো নামে এক ব্যক্তি। সেখানে সে জানায়, মহিলাদের স্তন কেটে নিয়ে বিক্রি করত। প্রায় দু’ বছর ধরে এই নৃশংস কাজ করে গিয়েছে।

ইউটিউবে গত ৯ জুন সাক্ষাত্কারটি আপলোড হয়েছে। কী ভাবে টোপ দিয়ে মহিলাদের ফাঁদে ফেলে তাঁদের স্তন কেটে বিক্রি করত কিমানিয়ানোরা তা শুনিয়েছে। কিমানিয়ানো জানিয়েছে, তারা দলবদ্ধ ভাবে কাজ করত। টার্গেট ছিল মূলত যৌনকর্মীরা। নাইরোবির বিভিন্ন প্রান্তে তারা ঘুরে বেড়াত। তবে তাদের বেশির ভাগ অপকর্ম হত কইনাঙ্গি স্ট্রিট এলাকায়।

প্রথমে তারা কোনও যৌনকর্মীকে টোপ দিতেন। সেই ফাঁদে পড়লেই তাদের গোপন জায়গায় নিয়ে গিয়ে, ফ্লেক্সর নামে এক রাসায়নিক দিয়ে অচেতন করে দেওয়া হত।ফ্লেক্সর পেশির যন্ত্রণা উপশমের কাজে ব্যবহার হয়। এই ফ্লেক্সরের বেশি প্রয়োগে অজ্ঞান হয়ে যেতেন ওই মহিলা যৌনকর্মীরা। তারপর তাঁদের স্তন কেটে নেওয়া হত।

তাদের এই কাজের বরাত দেওয়া হত বলে জানিয়েছে কিমানিয়ানো। নির্দিষ্ট জায়াগায় গিয়ে স্তনগুলি হস্তান্তর করা হত। স্তনগুলি ১ লক্ষ থেকে ১ লক্ষ ২০ হাজার কেনিয়ান শিলিং (ভারতীয় মুদ্রায় ৬৫ হাজার ৬৫৫ টাকা থেকে ৮১ হাজার ৯৭৩ টাকা)-য় বিক্রি হত। অর্থের পরিমাণ নির্ভর করত স্তনের মাপের ওপর। স্তন বড় হলে দামও বেশি মিলত।

কিমানিয়ানো দাবি করেছে, টাকাটা যথেষ্টই বেশি তার কাছে। কিন্তু তিন জন মহিলার স্তন কাটার পর একদিন সে অনুভব করে, কী নৃশংস অপরাধ সে করছে। তারপরই এই অপরাধ জগত ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেয় কিমানিয়ানো।

আরও পড়ুন : রেস্তরাঁয় এল বিরলতম নীল লবস্টার, দেখুন কী হল তার ভবিষ্যত

আরও পড়ুন : ভক্তদের হাত থেকে দিশাকে উদ্ধার করলেন টাইগার

মাদকের ঘোরে এই সব অপরাধ করত বলে দাবি করেছে কিমানিয়ানো। ‘ব্লু মার্সেডিজ ড্রাগ’ বা ‘রেড ডেভিল পিল’ নেওয়ার পর যে কোনও কাজ করা যেতে পারে বলে দাবি তার। সে এই কাজ ছেড়ে দেওয়ার কিছুদিন পরেই, ২০১৬ সালে দলের অন্যরাও পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE