Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
ajwain

মধু-লেবুর জল নয়, বরং ব্রেকফাস্টের আধ ঘণ্টা আগে এই পানীয়ই ঝরাবে মেদ!

মেদ ঝরাতে ভরসা করুন বিশেষ পানীয়তে। ছবি: শাটারস্টক।

মেদ ঝরাতে ভরসা করুন বিশেষ পানীয়তে। ছবি: শাটারস্টক।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ১১:৫৮
Share: Save:

এক গ্লাস জলে ২৫ গ্রাম জোয়ান। আর তাতেই ঝরবে মেদ! সহজ এই পানীয়তে মেদ ঝরানোর পক্ষে সায় দিচ্ছেন পুষ্টিবিদরাও।

সকাল-বিকেল হাঁটাহাঁটি, কিছুটা সময় বার করে প্রয়োজনীয় শরীরচর্চা, সারা দিনে নিয়ম মেনে ডায়েট, পর্যাপ্ত ঘুম। মেদ ঝরিয়ে ফেলার মূল ফ্যাক্টর বলতে এগুলোই। তবে রাতারাতি মোটেও নয়, এই সব উপায়ে মেদ ঝরে বেশ সময় নিয়ে। এমনিতেও ওজন কমানোর শর্ট কাট কোনও ফর্মুলা আদপে হয় না। মেদ জমতে যেমন সময় নেয়, সুস্থ থেকে তা ঝরাতে গেলেও দিতে হয় কিছুটা সময়।

তবে সারা দিনের মধ্যে কিছু কৌশল অবলম্বন করতে পারলে ওজন কমানোর রাস্তায় অনেকটাই এগিয়ে যাওয়া যায়। খুব নিয়মে নিজেকে বেঁধে ফেললেও কোনও কোনও দিন সে নিয়মকে ছুটি দিতেই হয়। এই সব নিয়ম ভাঙার সময়গুলিতে যাতে শরীরের খুব ক্ষতি না হয়, নতুন করে মেদ জমে যেতে না পারে সেই কারণেই প্রয়োজন পড়ে কিছু কৌশলের। জোয়ানের জল হতে পারে এই সময় আপনার বন্ধু।

পুষ্টিবিদ সুমেধা সিংহের মতে, ‘‘সকালে উঠে মধু-লেবুর জল খেলে মেদ ঝরে এমন ধারণা অনেকেরই আছে। কিন্তু সেই ভাবনা পুরোটা ঠিক নয়। মধু-লেবুর জল বিপাক হার বাড়ায় ঠিকই কিন্তু মেদ কমিয়ে ফেলতে পারে এটা মিথ ছাড়া আর কিছুই নয়। বরং সেই জায়গায় যোগ করতে পারেন জোয়ান ভেজানো জল। বদহজম তো রুখবেই, সঙ্গে ঝরাবে শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট।

কিন্তু কী ভাবে?

জোয়ান প্রাকৃতিক ভাবেই হজমশক্তি বাড়াতে সক্ষম। এর সঙ্গে শরীরে স্নেহপদার্থ জমার ক্ষেত্রেও বাধা হয়ে দাঁড়ায়। ফলে ওজন কমাতে বিশেষ ভূমিকা থেকেই যায়। এ ছাড়া শরীরের টক্সিন দূর করতেও বিশেষ ভাবে কাজে আসে জোয়ান ভেজানো জল। খাবার ভাল ভাবে হজম না হলে শরীরে বিপাক হাক কমতে থাকে। ফলে ক্যালোরি পোড়ানো কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। জোয়ানে থাইমল তেল থাকায় তা এই বিপাক হারকে বাড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। ফলে শরীরের ক্যালোরি দ্রুত পোড়ে।

জোয়ান-জল বানানোর পদ্ধতি

রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস জলে ২৫ গ্রাম জোয়ান মিশিয়ে গ্লাসটি চাপা দিয়ে রাখুন। সকালে উঠে সেই জল ছেঁকে খেতে হবে। এই পানীয়ে আর একটু স্বাদ যোগ করতে চাইলে এর সঙ্গে এক চামচ মধুও মেশাতে পারেন। প্রতি দিন প্রাতঃরাশ সারার ৩০ মিনিট আগে খান এই পানীয়। টানা ১৫-২০ দিন এই পানীয় খেলেই ওজনের ফারাকটা বুঝতে পারবেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE