জিভে জল আনা নারকেল-চিংড়ি। ছবি: শাটারস্টক।
গলদা চিংড়ি মানেই কেবল ডাবের শাঁসে চিংড়ির মজা, নয়তো মালাইকারি। তবে হাতযশ থাকলে হেঁশেলে চিংড়ি মাছ দিয়েই বানিয়ে ফেলতে পারেন খুব কম সময়ে এমন কিছু মুখরোচক রান্না যা পাতে পড়লে ভাত উঠতে সময় লাগে না।
গলদা চিংড়ির চিরচেনা রেসিপিগুলোর ছকের বাইরে বেরিয়ে, হাতের কাছেই মজুত এমন কিছু উপকরণ দিয়ে বানিয়ে ফেলুন বরং সর্ষে-নারকেলের চিংড়ি। মালাইকারির রাজকীয়তার পাসে এই পদের আভিজাত্যও কম নয়!
দেখে নিন এই সহজ রেসিপিতে কী কী উপকরণ প্রয়োজন আর তা বানাবেনই বা কী ভাবে? তবে চাইলে এই পদ বাগদা চিংড়ি দিয়েও বানাতেই পারেন। তবে দুই ক্ষেত্রেই চিংড়ির পিঠের কালো শিরা অবশ্যই ধোওয়ার সময় বাদ দিয়ে দেবেন।
উপকরণ
গলদা চিংড়ি: ৬টা (বাগদা দিয়ে বানাতে চাইলে বাগদা কিনুন)
পেঁয়াজ: ১টা বড় (বাটা)
টোম্যাটো: ২টো মাঝারি (বাটা)
আলু: ১টা ছোট (ডুমো করে কাটা)
কাঁচা লঙ্কা: ২টো (কুচনো)
আদা-রসুন বাটা: দেড় চা চামচ
ধনেপাতা: ১ আঁটি (কুচনো)
গুঁড়ো হলুদ: ২ চা চামচ
লঙ্কা গুঁড়ো: ১ চা চামচ
গরম মশলা গুঁড়ো: দেড় চা চামচ
সর্ষে বাটা: ১ চা চামচ
সর্ষের তেল: ২ চা চামচ
নারকেলের দুধ: ২ কাপ
নারকেল কোরা: ২ টেবল চামচ
ঘি: ১ চা চামচ
নুন, চিনি: স্বাদ মতো
কী ভাবে বানাবেন
চিংড়ি মাছের শিরা ছাড়িয়ে নুন, হলুদ মাখিয়ে নিন। কড়াইতে তেল গরম করুন। গরম তেলে আলু ও চিংড়ি সোনালি করে ভেজে তুলে রাখুন। এ বার এই তেলেই পেঁয়াজ বাটা দিয়ে নেড়েচেড়ে আদা, রসুন বাটা দিন। পেঁয়াজ, রসুন বাটা সোনালি হয়ে ভাজা হলে টোম্যাটো বাটা দিন। এ বার কাঁচা লঙ্কা কুচি, সর্ষে বাটা দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
জল দিন যাতে গ্রেভি শুকিয়ে গিয়ে কড়াইতে লেগে না যায়। ফোটাতে থাকুন যতক্ষণ না জল টেনে মাখামাখা হচ্ছে। এ বার চিংড়ি, আলু, নারকেল কোরা ও নারকেলের দুধ দিয়ে দিন। চাপা দিয়ে ঢিমে আঁচে ৫ মিনিট রান্না করুন।
সব শেষে গরম মশলা গুঁড়ো ঘি ছড়িয়ে নামিয়ে নিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy