স্বার্থ-সংঘাত নিয়ে প্রশ্ন উঠলো রাহুল দ্রাবিড়ের বিরুদ্ধেও। ছবি: ফাইল চিত্র
ভারতীয় ব্যাটিং-এর কিংবদন্তি রাহুল দ্রাবিড়কে স্বার্থ-সংঘাত নিয়ে চিঠি পাঠাল বিসিসিআই। রাহুল এই মুহূর্তে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির প্রধান এবং ইন্ডিয়া সিমেন্ট গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট। এই ইন্ডিয়া সিমেন্ট গ্রুপ আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের অন্যতম মালিক। এই দ্বৈত পদে থাকার জন্য তাঁকে চিঠি পাঠান বোর্ডের অমবাডস্ম্যান ও এথিক্স অফিসার ডিকে জৈন (অবসরপ্রাপ্ত বিচারক)।
এর আগে স্বার্থ-সংঘাতের চিঠি পেয়েছিলেন সচিন তেন্ডুলকর, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এবং ভিভিএস লক্ষ্মণ। সচিন ও লক্ষ্মণ দু’জনেই ছিলেন ক্রিকেট অ্যাডভাইজারি কমিটির সদস্য। আবার দু’জনেই যথাক্রমে যুক্ত ছিলেন আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদের মেন্টর হিসেবে। সৌরভ নিজেও ছিলেন অ্যাডভাইজারি কমিটির অন্যতম সদস্য এবং দিল্লি ক্যাপিটালসের মেন্টর। তিনি সিএবি-র প্রধানও বটে। একসঙ্গে এতগুলো পদে থাকার জন্য স্বার্থসংঘাতের প্রশ্ন তুলেছে বিসিসিআই। সেই জন্য চিঠি পাঠানো হয় এই কিংবদন্তিদের।
ভারতীয় ক্রিকেটের ‘দেওয়াল’-কে চিঠি পাঠানো ডিকে জৈন সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে বলেন, “একটি অভিযোগ পাওয়ার পরগত সপ্তাহে চিঠি পাঠানো হয়েছে রাহুল দ্রাবিড়কে। দু’সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে রাহুলকে উত্তর দেওয়ার জন্য। ওঁর উত্তরের উপর নির্ভর করে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।” দ্রাবিড়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন মধ্যপ্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের মেম্বার সঞ্জয় গুপ্ত।
আরও পড়ুন: কাশ্মীর প্রসঙ্গে আফ্রিদিকে পাল্টা তোপ গম্ভীরের
আরও পড়ুন: কোহালির সঙ্গে স্মিথকেই সেরা বাছলেন ল্যাঙ্গার
সচিন চিঠির উত্তরে জানিয়েছিলেন যে,কাজের জন্য তিনি মুম্বই দলের থেকে কোনও টাকা নেননা।তাই স্বার্থ-সংঘাতের প্রশ্ন উঠতে পারেনা। লক্ষ্মণ জানিয়েছিলেন, তিনি ক্রিকেট অ্যাডভাইজারি কমিটির পদ ছেড়ে দিতে রাজি আছেন। যদিও পরবর্তী সময় দু’জনকেই অ্যাডভাইজারি কমিটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। সৌরভকেও সরিয়ে দেওয়া হয় ওই কমিটি থেকে এবং নতুন কমিটি তৈরি করা হয়।
ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের মতে, জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির প্রধান হিসাবে খুবই ভাল কাজ করছেন রাহুল। বিতর্ক থেকে শত হস্ত দূরে থাকা রাহুল বোর্ডের চিঠির কী জবাব দেন, সে দিকেই এখন তাকিয়ে ভক্তরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy